রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
ইতিহাস

রাজপুত শাসন

মুহাম্মদ ঘুরীর ভারত অভিযানের সময় রাজপুত বংশ শাসিত দিলি্ল ও আজমীরের চৌহান রাজ্য ছিল সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী। এ বংশের বিখ্যাত রাজা ছিলেন পৃথ্বীরাজ রায়। প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সঙ্গে প্রায়ই তার সংঘর্ষ হতো। তিনি মুসলিম আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য রাজপুত রাজাদের নিয়ে একটি মিত্র সংঘ গঠন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মুসলমানদের হাতে পরাজিত ও নিহত হন। কনৌজের গাহঢ়বাল বংশ এ সময় খুব শক্তিশালী হয়ে উঠে। গোবিন্দ চাঁদ ছিলেন এ বংশের একজন খ্যাতনামা শাসক। তার সময়ে কনৌজের পূর্ব সীমানা পাটনা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। গোবিন্দ চাঁদের পর বিজয়চাঁদ রাজা হন। তিনি তার পূর্ব-পুরুষদের আক্রমণাত্দক নীতি অনুসরণ করেন। জয়চাঁদ ছিলেন এ বংশের শেষ রাজা, তিনি পৃথ্বীরাজের প্রধান শত্রু ছিলেন। কারণ পৃথ্বীরাজ জোরপূর্বক তার কন্যাকে হরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ জন্য গাহঢ়বাল বা রাঠোর রাজ জয়চাঁদ মুহম্মদ ঘুরীর সঙ্গে যুদ্ধে অন্যান্য রাজপুত রাজাদের ন্যায় পৃথ্বীরাজের পক্ষাবলম্বন করেননি। তিনিও মুহম্মদ ঘুরীর হাতে পরাজয়বরণ করেন।

গুজরাটের চাণক্য বংশ ছিল তখন পশ্চিম-ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজপুত রাজ্য। আনহিলওয়ারা ছিল গুজরাটের রাজধানী। মুহম্মদ ঘুরী যখন ভারতে অভিযান চালান তখন ভীমদেব গুজরাটের শাসনকর্তা ছিলেন।

সর্বশেষ খবর