রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

ভার্সাই সম্মেলন

প্রথম সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ থেমে গেছে। কিন্তু দুনিয়ার ভাগবাটোয়ারা শেষ হয়নি। শেষ হয়নি দুনিয়ার বিভিন্ন জাতির ভাগ্য নির্ধারণ। সাম্রাজ্যবাদীর দস্যুরা সেই কাজ শেষ করার জন্য ১৯১৯ সালের বসন্তকালে সম্মিলিত হন ভার্সাইতে। উন্নত বিশ্বের নেতারা যখন ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত, তখন বজ্রঘাতের মতো এক যুবক উত্থাপন করলেন আট দফা দাবি সংবলিত এক প্রস্তাব। ভিয়েতনামি জনগণের পক্ষ থেকে 'জাতিসমূহের অধিকার' শিরোনামে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো। কে এই প্রস্তাব উত্থাপনকারী যুবক? নওয়েন আই কুয়োক অর্থাৎ দেশপ্রেমিক নওয়েন। শুরু হলো হো মিনের ছদ্মনাম গ্রহণের পালা।

ভার্সাইয়ে উত্থাপিত তার দাবিপত্রের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে আত্দনিয়ন্ত্রণাধিকার, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, ফরাসি ও ভিয়েতনামিদের মধ্যে সমান অধিকার, জবরদস্তিমূলক শ্রম বিলোপ, লবণ কর রহিত এবং জবরদস্তিমূলক মদ্যপান ব্যবস্থার বাতিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ প্রস্তাবই হলো সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের বিরুদ্ধে তার প্রথম আঘাত। ভিয়েতনামের ওপর কর্তৃত্বকারী ফ্রান্সের বুকে বসে ফরাসি উপনিবেশবাদবিরোধী তার পিতৃ-মাতৃভূমির মুক্তির সনদ দাখিল করলেন হো চি মিন। অবাক বিস্ময়ে দেখল বিশ্ব!

সর্বশেষ খবর