বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক

উন্নয়ন ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় এবং যোগাযোগ জোরদারের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের যে গুরুত্ব রয়েছে তাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের জীবনমান উন্নত করাই তার সরকারের লক্ষ্য। গত রবিবার সন্ধ্যায় লন্ডনের পার্ক লেইন শেরাটন হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় দেওয়া এ বক্তব্যটি সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যের দাবিদার। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান এমন এক স্থানে যার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হলো বিশ্ব অর্থনীতির নতুন শক্তি ভারত। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীনও বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী। জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বশক্তির দাবিদার দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চমৎকার আস্থার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী স্থলবেষ্টিত দেশ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন নিকট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো। প্রতিবেশী এমন এক সত্তা যাকে আস্থায় নেওয়ার মধ্যে রয়েছে সত্যিকারের কল্যাণ। বন্ধু পাল্টানো গেলেও প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না। প্রতিবেশী ছোট হোক আর বড় হোক সম্পর্ক খারাপ করে ভালো থাকা যায় না। বিশেষত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে রয়েছে অনস্বীকার্য ভিন্নমাত্রা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাংলাদেশের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর রক্ত একাকার হয়েছে। এ বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়া তথা সম্পর্কের রাখি বন্ধনকে আরও জোরদার করার সরকারি নীতিমালা দেশের ১৬ কোটি মানুষের কল্যাণকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি আঞ্চলিক শান্তির পরিবেশও জোরদার করবে। আজকের যুগ হলো পারস্পরিক সহযোগিতার যুগ। আজকের যুগে সে জাতিই বিশ্ব পরিসরে এগিয়ে থাকে অন্যসব দেশের সঙ্গে যার সুসম্পর্ক বেশি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার রক্ষা কবচ হিসেবেও বিবেচিত হয়।

সর্বশেষ খবর