বুধবার, ১৭ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

আন্তঃদেশীয় যানবাহন চুক্তি

চার দেশের মানুষের জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান সড়কপথে নিজেদের যোগাযোগ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে প্রতিবেশী চার দেশ। চুক্তি অনুযায়ী চার দেশের যানবাহন যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চুক্তিবদ্ধ দেশে যেতে পারবে। যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক-লরি সব কিছুর অবাধ চলাচল নিশ্চিত হবে। শুল্ক ও অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে। চুক্তিবদ্ধ দেশগুলোর নিজ নিজ আইনে থিম্পু চুক্তি চলতি বছর থেকেই কার্যকর হবে। ট্রানজিট এবং চলাচলের অনুমতি সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ করা হবে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে। থিম্পু চুক্তি অনুযায়ী এক দেশের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন অন্য দেশে যাওয়া-আসার সুযোগ পেলেও সংশ্লিষ্ট দেশে অবৈধ বা অননুমোদিত কোনো পণ্য নিয়ে যাওয়া যাবে না। যে কোনো দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো যানবাহন প্রদর্শন বা তল্লাশি করতে পারবে। চুক্তির শর্তানুযায়ী এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেসব যানবাহন চলবে সেগুলোর বৈধ মালিকানা, ফিটনেস ও ইন্স্যুরেন্সের হালনাগাদ নথিপত্র থাকতে হবে। চালকদের স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোনো ধরনের লাইসেন্স থাকলেই চলবে। যাত্রীদের থাকতে হবে ভ্রমণের অনুমোদনপত্র। চুক্তি অনুযায়ী ব্যক্তিগত, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা আলাদা ফরম পূরণ করতে হবে। বাণিজ্যিকভাবে যে সব যানবাহন চলাচল করবে সেগুলোর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। সাময়িক অনুমতি নিয়েই ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে পারবে এবং অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ ধরনের অনুমতি দিতে পারবে। আন্তঃসংযোগ বাড়ানোর এই চুক্তি সার্কভুক্ত নিকটতম প্রতিবেশী চার দেশের যোগাযোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। তবে এ চুক্তির সুফল পেতে যেমন সময় লাগবে তেমন প্রয়োজন হবে বিপুল বিনিয়োগের। চুক্তি বাস্তবায়নে চুক্তিবদ্ধ চার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন হবে। স্মর্তব্য, আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো ১৯৯৮ সালে এ ধরনের একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। তার সুফল নিশ্চিত হয়েছে প্রায় এক দশক পর ২০০৭ সালের প্রটোকল স্বাক্ষরের পর থেকে। ছোটখাটো সমস্যা থাকলেও আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ চার বন্ধু দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠকরণে অবদান রাখবে। চার দেশের মানুষের জন্য বয়ে আনবে কল্যাণ।

সর্বশেষ খবর