শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

শিরস্ত্রাণে সোনালি পালক

টাইগারদের অভিনন্দন

টাইগারদের শিরস্ত্রাণে গত বুধবার সংযোজিত হলো সাফল্যের আরেকটি সোনালি পালক। সফররত জিম্বাবুয়ে দলকে ‘বাংলাওয়াশ’-এর মাধ্যমে টাইগাররা তাদের শক্তিমত্তাকে আবারও তুলে ধরল ক্রিকেট বিশ্বের সামনে। এটা নিয়ে পরপর দ্বিতীয়বারের মতো ধবল ধোলাইয়ের সম্মুখীন হলো এক সময়ের দাপুটে দল জিম্বাবুয়ে। সফররত আফ্রিকান দলটি প্রথম ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল ১৪৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যবধানটি ছিল ৫৮ রানের। শেষ ম্যাচে হোয়াটমোরের নতুন শিষ্যরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। তারা পরাজিত হয়েছে ৬১ রানের ব্যবধানে। সান্ত্বনা এটুকুই শেষ ম্যাচে তারা ২০০ রানের কোটা পার করতে পেরেছে। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় এমনকি ধবল ধোলাই অপ্রত্যাশিত কোনো সাফল্য নয়। শক্তির বিচারে তারা বাংলাদেশের চেয়ে যেমন পিছিয়ে তেমনি স্বাগতিক দলের সুবিধা নিয়ে খেলেছে টাইগাররা। এ জয়কে সাদামাটা ভাবা হলেও তার অর্জনগুলো কম নয়। শেষ ম্যাচে বিস্ময়বালক মুস্তাফিজ ৫ উইকেট লাভ করে নিজের জাতকে আবারও তুলে ধরেছেন সবার সামনে। ৮ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে তিনি সফরকারী দলের পতনে মূল ভূমিকা রেখেছেন। ওয়ান ডে ক্যারিয়ারে মাত্র ৯টি ম্যাচ খেলে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট অর্জন গর্বের বৈকি! জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাই করে সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে একধাপ এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সফররত জিম্বাবুয়ের হারানোর কিছু না থাকলেও টাইগারদের জন্য এ সিরিজটি ছিল চ্যালেঞ্জ। কোনো খেলায় হারলেই র‌্যাংকিংয়ে তাদের সপ্তম স্থানের অবস্থান নড়বড়ে হওয়ার আশঙ্কা ছিল।  জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় এমন এক সময় অর্জিত হলো যখন চারদিকে দুর্যোগের মেঘ জনমনে আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চলছে নানামুখী অশুভ ষড়যন্ত্র। এ অকাম্য অবস্থার মধ্যে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক জাতীয় ক্রিকেট দলের বিশাল বিজয় চারদিকের হতাশা কাটিয়ে উঠতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এমনটিই প্রত্যাশিত। টাইগারদের অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর