মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল

বাস্তবতার নিরিখে আজ সময়ের দাবি

দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এ ধরনের রাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন বোদ্ধাজনেরা। জাতীয় সংকটজনক মুহূর্তে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে এ ধরনের কাউন্সিলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য বলে মনে করা হয়। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এ-জাতীয় রাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিকট অতীতে বিডিআর বিদ্রোহের সময় প্রধানমন্ত্রী কাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন তা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এ-জাতীয় কোনো কাঠামো থাকলে সরকারের পক্ষে হয়তো আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হতো। কাউন্সিলে গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয় হলে হয়তো বিদ্রোহ ঠেকানো যেত। বৈশ্বিক অস্থির পরিস্থিতি এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশগুলোই শুধু নয়, শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। দেশের অর্থনীতির দ্রুত বিকাশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এখন বিশ্ব পরিসরেও আলোচিত হচ্ছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশাল সাগরসীমার অধিকারী হয়েছে। দেশের সাগরপ্রান্তে বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। গুরুত্ব পাচ্ছে জননিরাপত্তাও। বিশেষ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ বিশ্বজনীন হুমকিতে পরিণত হওয়ায় প্রতিটি জাতিকে যে কোনো ধরনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বা এ-জাতীয় রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠিত হলে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যেমন সুবিধা পাওয়া যাবে তেমন দেশের নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয় করা সহজতর হবে। জঙ্গিবাদ দমনেও এ ধরনের কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমাদের মতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবটি এখন সময়েরই দাবি। সরকার গুরুত্বের সঙ্গে এটি বিবেচনা করে দেখবে এবং সব দিক পর্যালোচনা করেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সর্বশেষ খবর