বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

শিক্ষা আন্দোলন : বেতন বৈষম্য ও মর্যাদা

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল

শিক্ষা আন্দোলন : বেতন বৈষম্য ও মর্যাদা

৪ জানুয়ারির মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিনিয়র মন্ত্রীরা অভিযোগ করেছেন ১ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখের সভায় তারা বৈষম্য নিরসনের জন্য যেসব সুপারিশ করেছিলেন বেতন স্কেলের গেজেটে বা অন্য কোনো প্রজ্ঞাপনে তার প্রতিফলন ঘটেনি। উপরন্তু ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব কর্তৃক একটি বিতর্কিত পরিপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, যা মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল না। এতে পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে, কতিপয় আমলা প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। আমরা একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এ ধরনের পরিপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাই, যাতে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্ত পাল্টে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে অন্য কেউ লিপ্ত না হয়। সর্বশেষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ৪ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে গণমাধ্যমে প্রেরিত জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-বিষয়ক একটি প্রেস রিলিজ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে; যাতে বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা, কাজের ধরন, চাকরির বয়সসীমা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন মহলে এক ধূম্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে; যা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা যাতে টাইমস্কেল বা সিলেকশন গ্রেড ছাড়া গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ প্রাপ্য হন সে জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে’। তাহলে ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব কর্তৃক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত পরিপত্র নম্বর— ০৭.০০.০০০০.১৬১.০০.০০১.২০১৫ ৩১৫-এ বেতন বৈষম্য দূরীকরণ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১ নভেম্বরের সভার সিদ্ধান্ত দেখিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো কেন? এতে চতুরতার সঙ্গে সপ্তম পে-স্কেল থেকে অর্ধেক কিংবা তারও কমসংখ্যক অধ্যাপক গ্রেড-১-এ যাওয়ার সুবিধা রাখা হয়েছে। এ বিতর্কিত পরিপত্রটি প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা?

সকল পর্যায়ের ক্যাডার ও ক্যাডারবহির্ভূত প্রায় ১২ লাখ চাকরিজীবীর মধ্য থেকে সরকারের সচিবসহ গ্রেড-১-ভুক্ত চাকরিজীবীর সংখ্যা বর্তমানে ১২২ জন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী ৩২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ে সর্বমোট শিক্ষকের সংখ্যা ১১ হাজার ৪১১ জন, তার মধ্যে গ্রেড-১-ভুক্ত অধ্যাপকের সংখ্যা ৮২০ জন। ক্যাডারবহির্ভূতরা কি সচিব পদে পদোন্নতি পান? তাহলে তারা এ হিসাবে কেন? বস্তুত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী গ্রেড-১-ভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ৬০৮ জন। কঠিন শর্ত পূরণসাপেক্ষে অধ্যাপকদের ২৫% গ্রেড-১-প্রাপ্ত হন। যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করলে অনেক শিক্ষককেই গ্রেড-৩ অধ্যাপক থেকে অবসরে যেতে হয়। এটি সম্পূর্ণরূপে মেধার স্বীকৃতি। পৃথিবীর সব দেশে এরূপ মেধার স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ প্রথা প্রচলিত। প্রেস রিলিজে এ রকম একটি স্বতঃসিদ্ধ বিষয়কে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্য কী? যে আমলারা এই মনন-মেধার লালন ক্ষেত্রের সৃষ্টি তারা কি এর স্বকীয়তাকে আমলাতন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ করতে চান? প্রশাসনিক কাঠামোর মতো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পিরামিড স্ট্রাকচার থাকলে উচ্চশিক্ষার স্বকীয়তা ও মেধার লালনকে ধ্বংস করা হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমেরিকার Massachusetts Institute of Technology (MIT) পৃথিবীর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে র্যাংকিংয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে, যার মোট শিক্ষক সংখ্যা ১ হাজার ৬৩৭ জন। এর মধ্যে ৬৬২ জন অর্থাত্ ৪০.৪% অধ্যাপকের পদে অধিষ্ঠিত আছেন। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপকের সংখ্যা মোট শিক্ষকের তুলনায় ৩৫%। এর দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের গবেষণা ও মেধার অনুশীলনের মধ্য দিয়ে তাদের পদমর্যাদাগত উন্নতি বিধান করা সম্ভব।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ১২ বছরের মধ্যে তৃতীয় গ্রেডভুক্ত অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান’। বস্তুত অর্থে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কোনো পদোন্নতি নেই। যোগ্যতার মাপকাঠিতে প্রতিটি পদায়ন এখানে নতুন নিয়োগ। যদি কোনো শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি না থাকে তাহলে ওই শিক্ষকের অন্তত ২৫ বছর চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হলে, ন্যূনতম ১৪ বছর সহযোগী অধ্যাপক পদে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে, নূন্যতম ১৫টি গবেষণা প্রবন্ধ স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত হলে, সহযোগী অধ্যাপকের মেয়াদকালে ৭টি গবেষণা প্রকাশনা থাকলে অধ্যাপক পদের জন্য দরখাস্ত করতে পারেন। যদি কোনো শিক্ষক পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তখন ছয় বছর সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা এবং উল্লিখিত গবেষণা প্রবন্ধের শর্ত পূরণসাপেক্ষে শিক্ষকতায় সক্রিয় ১২ বছর চাকরি শেষ করার পর তিনি অধ্যাপক পদের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করেন। তবে সকল প্রক্রিয়া শেষ করে চাকরির ১৫ বছরের আগে তৃতীয় গ্রেডের অধ্যাপক হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। আর পিএইচডি ডিগ্রি না থাকলে তৃতীয় গ্রেড পেতে ২৫ বছরেরও বেশি সময় লাগে। অথচ প্রশাসনে এরূপ কঠিন শর্ত ছাড়াই শুধু চাকরির বয়সের বিবেচনায় ১৪ বছর চাকরি শেষে যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে তৃতীয় গ্রেডে পদোন্নতি পাওয়ার বিধান আছে।

‘সচিব পদে পদোন্নতি পেতে হলে প্রায় ২৭ থেকে ৩০ বছর বা তার বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় ... তারা ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে গ্রেড-১-প্রাপ্ত হন’। শিক্ষকতায় ন্যূনতম ২০ বছর চাকরিকাল ও পাঁচ বছর অধ্যাপক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে এবং ৩৯,৫০০/- স্কেলে (সপ্তম বেতন স্কেল অনুযায়ী) এক বছর বেতন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের মোট পদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ২৫%-এ থাকলে অধ্যাপকরা গ্রেড-১ পাওয়ার শর্তাবলি পূরণ করবেন। সচরাচর কোনো শিক্ষক অধ্যাপক হিসেবে ন্যূনতম ১৫-২০ বছর চাকরিসহ সর্বমোট চাকরিকাল ২৭ বছরের ঊর্ধ্বে হলে গ্রেড-১ অধ্যাপক হতে পারেন। পিএইচডি ডিগ্রি না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গ্রেড-১ অর্জন করা অসম্ভব। উল্লেখ্য, সিনিয়র সচিব পদ থেকে অবসরে গিয়ে আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন এমন অনেকের পিএইচডি ডিগ্রিধারী সহপাঠীরা চলতি বছর গ্রেড-১ পেয়েছেন এবং কেউ কেউ এখনো পাননি।

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর। অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৯ বছর’। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা, গবেষণাকর্ম বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতির প্রয়োজনে কাজে লাগানোর মহান ব্রত নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করেছিলেন। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর। এ ছাড়া ইউরোপ ও এশিয়ার অন্যান্য দেশেও তাই। কানাডা ও আমেরিকায় বয়স দিয়ে শিক্ষকদের চাকরিকাল নির্ধারিত হয় না, বরং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাসাপেক্ষে তারা যতদিন ইচ্ছা শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে পারেন। জাতীয় প্রয়োজনে অন্য কোনো পেশার অবসরের বয়স ৬৫ হলে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। চাকরির অবসরের সীমারেখায় যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা অযৌক্তিক ও অন্যায়।

‘সব সরকারি কর্মচারীর নির্ধারিত অফিস সময় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা’। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাচিবিক দায়িত্ব পালন কোনো শিক্ষকের কাজ নয়। একজন অধ্যাপকের কাজ তার শ্রেণিকক্ষে, গবেষণাগারে এমনকি তার নিজ গৃহে। শিক্ষকের কাজ লেকচার প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা প্রত্যবেক্ষণ, উত্তরপত্র নিরীক্ষণ, গবেষণা কাজ সম্পাদন ও পরিচালনা এবং পাশাপাশি অন্যান্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করা। বলা চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোনো না কোনো ভাবে দিন-রাত সব সময়ই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। শিক্ষকের কাজ কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টার বেড়াজালে আবদ্ধ থাকে না। তাই জাতির শ্রেষ্ঠ মেধাবীদের সঙ্গে অন্য পেশার কারও কর্মঘণ্টার তুলনা করা নেহায়েত বাতুলতা বৈ অন্য কিছু নয়।

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পান, যা কোনো সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে সম্ভব নয়’। সরকারি কর্মকর্তারাও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন এমন তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে কাজ করার এ সুযোগ পান, যা সর্বমোট শিক্ষকের ২-৩% এর বেশি হবে না।

জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবের মর্যাদার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনার বিষয়ে আমরা অবহিত। জাতীয় অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবদের পর্যায় এনে এই বরেণ্য ব্যক্তিদের যেমন অপমান করা হয়েছে তেমনি তাদের পে-রুলে আনার এ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে জাতীয় বেতন কাঠামোকে করা হয়েছে বিতর্কিত। আশা করি সরকার তাদের মর্যাদা নির্ধারণে সচেষ্ট থাকবে।

এখানে উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য কোনো উচ্চশিক্ষা বৃত্তির সুযোগ নেই, যা আমলাদের রয়েছে। বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেলেই আমলারা সরকারি কোষাগার থেকে ৩৫ লাখ টাকা পান, যা শিক্ষকদের জন্য নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপ নামে একটি ফান্ডের ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু এখন আর তা নেই। এমনকি বর্তমানে জাপান সরকারের জেডিএস, অস্ট্রেলিয়ার অসএইডসহ বিদেশি দাতা সংস্থার সব উচ্চশিক্ষা বৃত্তি সরকারি কর্মকর্তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছেন। অথচ বিষয়ভিত্তিক উচ্চশিক্ষা অর্জনের অধিকার ও ন্যায্যতা যে কোনো বিবেচনায় শিক্ষকদের অনেক বেশি। উচ্চশিক্ষা ছাড়া একজন শিক্ষকের পদায়নের পথও প্রায় রুদ্ধ। যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন সরকারি কর্মকর্তা গাড়ি কেনার জন্য সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে পান মাসিক ৪৫ হাজার টাকা। এ ধরনের কোনো সুযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নেই। সরকারি বাসাসহ এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার জন্য সরকারি খরচে আমলারা কর্মী পেয়ে থাকেন। উপরন্তু, শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন ও আনুষঙ্গিক যে ভাতা পান তা আমলাদের সিটিং অ্যালাউন্সের নগণ্য অংশ মাত্র। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রেস রিলিজের কারণে আমাদের এ বক্তব্য দিতে হয়েছে। সর্বশেষ আমাদের প্রত্যাশা— শিক্ষক প্রতিনিধিদের দেওয়া অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিসমূহ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন

সর্বশেষ খবর