শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি

স্বচ্ছতার পরিবেশ বজায় রাখতে হবে

মালয়েশিয়ার সঙ্গে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট প্লাস পদ্ধতিতে জনশক্তি রপ্তানির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আগামী ৫ বছরে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুই সরকারের সমঝোতা অনুসারে কর্মী প্রেরণে বেসরকারি খাতের ভূমিকা রাখার সুযোগও সৃষ্টি করা হয়েছে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে। সমঝোতা স্মারক অনুসারে নতুন কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যেতে সর্বোচ্চ খরচ হবে ৩৭ হাজার টাকা। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নূরুল ইসলাম এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রিওট আনাক জায়েম স্ব স্ব দেশের পক্ষে এই বহুল প্রত্যাশিত সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার হিসেবে পরিচিত। নানা জটিলতায় সে দেশে কর্মী প্রেরণ বন্ধ হয়ে যায় কয়েক বছর আগে। পরবর্তীতে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে শ্রমবাজার উন্মোচন হলেও সে চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী লোক পাঠানো সম্ভব হয়নি। নতুন সমঝোতা স্মারকে বেসরকারি খাতের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকায় আশা করা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে গতি আসবে। সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করেছে। এর ফলে অন্যান্য সোর্স কান্টির মতো বাংলাদেশ থেকে সেবা, নির্মাণ, কৃষি প্ল্যান্টেশন ও ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ ঘটবে। অতীতে শুধু প্ল্যান্টেশন সেক্টরে কর্মী নিয়োগের যে সুযোগ ছিল সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে তার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ রাখা হয়েছে পাঁচ বছর। তবে উভয়পক্ষের সম্মতিতে তার মেয়াদ বাড়ানো যাবে। বাংলাদেশে সরকারিভাবে নিবন্ধিত কর্মীদের তালিকা থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে। কর্মীদের অধিকাংশ অভিবাসন ব্যয় বহন করবেন নিয়োগদাতারা। মালয়েশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সে দেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে কার্যত যে, অচলাবস্থা বিরাজ করছিল তার অবসান ঘটল। শ্রমবাজার টিকিয়ে রাখতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকেও অনুরোধ করা হয়েছে যে সব রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের যেন নিয়োগ করা না হয়। আমরা আশা করব, এ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সর্ব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর