সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভেষজ

সয়াবিন ও হলুদ

আমেরিকার ওই গবেষক দল প্রথমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাবের ওপর তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা লক্ষ্য করেন, এশিয়া মহাদেশের অধিবাসীদের মধ্যে এ ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব কম এবং এ মহাদেশের লোকজন সয়াবিন ও হলুদ বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকে। আর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গবেষকেরা ধারণা করেন যে, সম্ভবত অধিক সয়াবিন ও হলুদ গ্রহণই এশিয়ানদের মধ্যে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার কম হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আর এ ধারণার ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা তাদের গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন। তারা গবেষণাগারে চাষ (কালচার) করা ক্যান্সার কোষের ওপর সয়াবিন থেকে পাওয়া সয়া আইসোফ্যাভোন ও হলুদ থেকে পাওয়া  কুরকুমিন যৌথ ও আলাদা আলাদাভাবে প্রয়োগ করেন। তারা দেখতে পান, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ ও স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটাতে  সয়া আইসোফ্যাভোন ও কুরকুমিনের যৌথ প্রয়োগ আলাদা আলাদা প্রয়োগ করা অপেক্ষা অনেক বেশি কার্যকর। বিজ্ঞানীরা বলেন, সয়াবিনে বিদ্যমান সয়া আইসোফ্যাভোন ও হলুদে বিদ্যমান কুরকুমিন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী নিউকিয়ার ফ্যাক্টর কাপ্পা বি এর কার্যকারিতা বন্ধ করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

তাই প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার প্রতিরোধে আমাদের সয়াবিন দিয়ে তৈরি খাবার ও কুরকুমিনসমৃদ্ধ হলুদ খাওয়া উচিত।

—ডা. আলমগীর মতি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর