শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

শাহজালালে নিষেধাজ্ঞা

নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা নিন

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওপর যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে এ বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহন করা যাবে না। এর আগে অস্ট্রেলিয়া শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কার্গো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞার আগে তারা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার তাগিদ দেয়। কিন্তু সে তাগিদে কাজ না হওয়ায় এ চরম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে কার্গো নেওয়া বন্ধ করে। এর ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এর ফলে বাংলাদেশ বিমানকেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বাংলাদেশ বিমানই একমাত্র এয়ারলাইনস যারা ঢাকা থেকে লন্ডনে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাজ্যে সরাসরি তৈরি পোশাক, সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। স্মর্তব্য, যুক্তরাজ্য এভিয়েশন গোয়েন্দা দল তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বিমানে ঢাকা-লন্ডন সরাসরি যাত্রী ও কার্গো পরিবহনে অসন্তোষ প্রকাশ করে। বিমানের কার্গো রপ্তানি টার্মিনালটি বহিরাগত জনবল দিয়ে পরিচালিত হওয়ায় এ ধরনের জনবলকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে অভিহিত করা হয় ওই রিপোর্টে। রপ্তানি টার্মিনালে কর্মরত ৩০০ ব্যক্তির মধ্যে মাত্র ৬০ জন বিমানের নিজস্ব। বাকিরা বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বহিরাগত। এদের মধ্যে চোরাচালানসহ বিভিন্ন মামলার আসামিও রয়েছে। নামমাত্র স্ক্যানের পর তারা টার্মিনালে প্রবেশের সুযোগ পায়। একইভাবে স্ক্যান ছাড়াই অবাধে পণ্যসামগ্রী বিভিন্ন এয়ারলাইনসে উঠানো হয়। এ অবস্থায় পণ্যের সঙ্গে উড়োজাহাজের ভিতর বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো আশঙ্কার কথাও বলা হয় যুক্তরাজ্যের রিপোর্টে। নিরাপত্তা শিথিলতায় কার্গো ফ্রেটগুলো যেসব দেশের বিমানবন্দরে যাচ্ছে সেখানে বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কাও করা হয়।  যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে শাহজালাল থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহনে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তা দেশের ভাবমূর্তির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। এ লজ্জা কাটিয়ে উঠতে শাহজালালে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর