রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা বিড়ম্বনা

ওদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এবং অবৈধভাবে অবস্থান নানামুখী সমস্যার উদ্ভব ঘটাচ্ছে। আশির দশকে শুরু হয় রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। বিদেশি মদদে রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি তত্পরতায় জড়িত হয়। ফলে সে দেশের সামরিক সরকারের রুদ্ররোষের মুখে পড়ে তারা। এ সময় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। বাংলাদেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের আনুকূল্যও পায় তারা। ফলে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ পরিচয় গোপন করে বাংলাদেশি সাজার সুযোগ পায়। এদের একাংশ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যায় এবং সেখানেও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। সৌদি আরব এমনকি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের সুনাম নষ্টের জন্য রোহিঙ্গাদের অপকর্ম অনেকাংশে দায়ী। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৩২ হাজার। তবে অনিবন্ধিত যেসব রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছে তাদের সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ। মাদক পাচারসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে তারা ব্যাপকভাবে জড়িত। সংরক্ষিত পাহাড় ও বনাঞ্চলে বসতি গড়ে তুলে তারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিপদাপন্ন করে তুলছে। জঙ্গি তত্পরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে কোনো কোনো রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে। মিয়ানমারের এ জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী এ দেশটির সম্পর্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে। বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলোর সম্পর্ক থাকায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। বাংলাদেশ এমনিতেই ঘনবসতির দেশ। নিজেদের নাগরিকদের খাদ্য ও বসতি জোগাতে বাংলাদেশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  এ বাস্তবতায় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণেরও উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর