খাদ্য ও একদিনের বাচ্চার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পাঁচ বছর ধরে পোলট্রি খামারিদের কপালে দুর্দশা নেমে এসেছে। দিনের পর দিন লোকসান দিয়ে অনেক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে বেকারের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। কিছুটা অনন্যোপায় হয়ে এখনো যারা অনিয়মিত এ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তাদের টিকে থাকার আর কোনো উপায় নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেখানে একদিনের ব্রয়লার বাচ্চার দাম ২৭-২৮ টাকা, সেখানে আমাদের দেশে একদিনের বাচ্চার দাম ৭৪-৭৫ টাকা এবং সামনের দিনগুলোতে আরও বেড়ে যাবে, কেননা সামনে আসছে শবেবরাত। এ দামে বাচ্চা ক্রয় করলে একটি মুরগি বিক্রির উপযুক্ত (১৫০০ গ্রাম) করতে একজন খামারির খরচ হয় ২১০ টাকারও বেশি। এখন বাজারে মুরগির পাইকারি মূল্য ১২৮-১২৯ টাকা কেজি, সেই হিসেবে প্রতিটি মুরগির পিছনে একজন খামারিকে ২০ টাকারও বেশি লোকসান গুনতে হবে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষেও একদিনের বাচ্চা ৭০-৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এবং প্রান্তিক খামারিদের অনেকেই পয়লা বৈশাখের বাজারে লোকসান দিয়ে মুরগি বিক্রি করেছেন। তাছাড়া ৫ ভাগ-১০ ভাগ মুরগি বিভিন্ন রোগ-শোকে মারা যায় এবং সুষ্ঠুভাবে গ্রেডিং না করার কারণে অনেক বাচ্চা কার্টনের ভিতরে মারা যায় অথবা অসুস্থ থাকে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের প্রায় দুই লাখ প্রান্তিক খামারির জীবন বাঁচাতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ একান্ত প্রয়োজন।
কাজী মুস্তাফা কামাল
দাউদকান্দি, কুমিল্লা।