সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুহাম্মদ (সা.) সমগ্র মানব জাতির আলোকবর্তিকা

মাওলানা আবদুর রশিদ

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী বা রসুল। তার আগে পৃথিবীতে যেসব নবী রসুলের আগমন ঘটেছিল তারা ছিলেন বিশেষ সম্প্রদায় বা এলাকার জন্য অবতীর্ণ নবী বা রসুল। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাত্র সমগ্র মানব জাতির আলোকবর্তিকা হিসেবে পৃথিবীতে আগমন করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, হে নবী আপনি বলে দিন হে মানব জাতি, আমি তোমাদের সবারই প্রতি আল্লাহর প্রেরিত রসুল। (সূরা আ’রাফ : ১৫৮)।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে আল্লাহর দূত হিসেবে নবী রসুলের আগমনের সমাপ্তি ঘটেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এরূপ, এক ব্যক্তি একটি সুন্দর সুরম্য অট্টালিকা নির্মাণ করল। কিন্তু এক কোণে একটি ইটের জায়গা খালি রেখে দিল। অতঃপর লোকেরা এসে অট্টালিকা ঘুরেফিরে দেখতে লাগল এবং তারা বিস্মিত হয়ে বলতে থাকল ওই ইটটি কেন লাগানো হয়নি! রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সেই ইট, আমিই সর্বশেষ নবী (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী, নবুয়তের সিলমোহর বা খাতামুন্নাবিয়ীন হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। এটি পৃথিবীর সৃষ্টির আগেই আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে স্বীয় প্রতিটি সৃষ্টির তকদির ঠিক করে দিয়েছেন এবং লাওহে মাহফুযে এ কথাও লিখে দিয়েছেন যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাতামুন্নাবিয়ীন। (মুসলিম)।

মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাসাল্লামকে পৃথিবীতে পাঠানোর উদ্দেশ্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে— তিনিই আল্লাহ তাঁর রসুলকে পথ-নির্দেশ (আল-কোরআন) ও সত্য দ্বীন (আল-ইসলাম)সহ পাঠিয়েছেন, যাতে একে অন্য সব মতবাদের ওপর বিজয়ী করেন। সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা ফাতাহ্: ২৮)।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর