বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

আল্লাহ বান্দার তওবা কবুল করেন

মাওলানা আবদুর রশিদ

ইমাম তিবরানী (রহ.) আবু হুরায়রা (রা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন; তিনি বলেন, একবার আমার কাছে এক মহিলা এসে জিজ্ঞেস করে  আমার জন্য কি তওবা আছে? আমি ব্যভিচার করে সন্তান প্রসব করেছি এবং তাকে হত্যা করেছি। আমি বললাম, না তোমার তওবা কবুল হবে না আর কখনো তোমার চোখ শীতল হবে না। আর না কখনো তুমি কোনো মর্যাদা লাভ করতে পারবে। তখন মহিলাটি অনুতাপ অনুশোচনা করতে করতে চলে যায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এরপর আমি রসুল (সা.)-এর সঙ্গে ফজরের নামাজ পড়ে তার খিদমতে মহিলাটির ঘটনা বর্ণনা করলাম। শুনে রসুল (সা.) বলেন, তুমি বড়ই মন্দ কাজ করেছ। মহিলাটি অনুতাপ করতে করতে হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর কাছ থেকে চলে গেল এবং সে এটাও বলল, হায়! এ সুন্দর চেহারা কি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল? হজরত আবু হুরায়রা (রা.) রসুল (সা.)-এর খিদমত থেকে বের হয়ে তিনি মহিলাকে খুঁজতে লাগলেন। কিন্তু মদিনার সব গলি খুঁজেও পাওয়া গেল না। হঠাৎ রাতে সে মহিলাটি পুনরায় তার কাছে উপস্থিত হলো। তিনি তাকে রসুল (সা.)-এর হাদিস শুনালে সে সিজদায় পড়ে গিয়ে বলল, সে মহান সত্তার জন্য সব প্রশংসা, যিনি আমার জন্য তওবার ব্যবস্থা করেছেন এবং আমার মুক্তির পথ প্রশস্ত করেছেন। এরপর সে তার একটি বাদী ও তার কন্যাকে আজাদ করে দিয়ে আল্লাহর দরবারে তওবা করল। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন— আর যে ব্যক্তি তওবা করবে এবং সৎকাজ করবে, বস্তুত সে আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন করে। আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন। এ আয়াত দ্বারা আল্লাহ তার ব্যাপক অনুগ্রহের উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তিই আল্লাহর দরবারে নিষ্ঠার সঙ্গে তওবা করে তিনি তার ছোট-বড় সর্বপ্রকার তওবা কবুল করেন। অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে— ‘তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তার বান্দাগণ থেকে তওবা কবুল করেন।’

‘আপনি বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজ সত্তার ওপর অবিচার করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।’  আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি তওবা চাওয়ার তাওফিক দান করুন।

     লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর