শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মাদক মানুষের বোধশক্তি কেড়ে নেয়

মাওলানা আবদুর রশিদ

মাদকদ্রব্য মানুষের বোধশক্তি কেড়ে নেয়। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মাদকসেবীরা। মাদকের প্রভাবে মানুষ জড়িয়ে পড়ে অপরাধের সঙ্গে। মাদকের অর্থ জোগাতে স্ত্রী এমনকি সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। যে কারণে পবিত্র ধর্ম ইসলামে সব ধরনের মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে হারাম। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-এর মতে, মদপান সবচেয়ে গুরুতর কবিরা গুনাহ এবং নিশ্চিতভাবে যাবতীয় নোংরা ও গর্হিত কাজের প্ররোচনার উৎস। —তাবারানি ও হাকেম হজরত ইবনে ওমর (রা.), হজরত আনাস (রা.) এবং হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত একাধিক হাদিসে শরাবখোরের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করা হয়েছে। হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেছেন, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সব মাকদদ্রব্য মদের পর্যায়ভুক্ত এবং সব মদই হারাম। পার্থিব জীবনে যে মদপানে অভ্যস্ত ছিল এবং তওবা না করে মারা যায়, পরলোকে সে জান্নাতি পানীয় থেকে বঞ্চিত থাকবে। —বোখারি, মুসলিম, তিরমিজি, নাসায়ি, আবু দাউদ, তাবারানি ও বায়হাকি মুসলিম ও নাসায়ি শরিফে হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাদকদ্রব্য সেবনকারীর জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হচ্ছে : আল্লাহ তাকে তিনাতুল খাবালের পানীয় পান করাবেন। আরজ করা হলো : ইয়া রসুলুল্লাহ! তিনাতুল খাবাল কি? তিনি ইরশাদ করলেন : জাহান্নামিদের ঘাম ও মলমূত্র। বোখারি-মুসলিমের আর এক হাদিসে আছে, দুনিয়ার মদ যে পান করবে, আখেরাতের পানীয় তার জন্য হারাম করা হবে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হাদিসে হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন,  রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মদপানে চির অভ্যস্ত ব্যক্তি মূর্তিপূজকের সমান। বলা হয়েছে, মদপানকারী তওবা না করে মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। নাসায়িতে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাতা-পিতার অবাধ্য ও মদপানে অভ্যস্ত, এ দুজন জান্নাতে যাবে না। অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনজনের জন্য আল্লাহ জান্নাত নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন।  মদপানকারী, মাতা-পিতার অবাধ্য এবং দাইয়ুস। দাইয়ুস হচ্ছে সে লোক, যে তার পরিবারের সদস্যের অসৎ কাজে লিপ্ত জেনেও তা প্রতিহত করে না।

     লেখক : ইসলামী গবেষক

সর্বশেষ খবর