সজিনার ডাঁটাকে আমরা সবজি হিসেবেই চিনি। বাজারে এটি দামি সবজি হিসেবেই বিবেচিত হয়। বসন্তের শেষের দিকে সজিনার ডাঁটা বাজারে ওঠে। সজিনার ডাল, সজিনার তরকারি অনেকের কাছেই বেশ প্রিয় একটি খাদ্য। শুধু সজিনার ডাঁটাই নয়, সজিনার পাতাও তরকারি হিসেবে পরিচিত। শখের এই সজিনা ডাঁটা কেবল খেতেই যে সুস্বাদু তা নয়। এর ভেষজ গুণের জন্য এটি স্বাস্থ্য সুরক্ষার কাজেও বেশ প্রয়োজনীয়। সজিনার রয়েছে আমাদের দেহকে নানান রোগ থেকে মুক্ত রাখার অনেক বড় একটি গুণ। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক সজিনার অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
সজিনা ডাঁটা খাওয়া উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। সজিনা দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া উচ্চরক্তচাপের চিকিৎসায় সজিনার পাতাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সজিনার পাতার (কচি নয়) রস প্রতিদিন নিয়ম করে ৪-৬ চা চামচ খেলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।টিউমার বা আঘাত জনিত ফোলা উপশমে
টিউমার যখন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন সজিনার পাতা এই টিউমার নিরাময় করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পড়লে তাতে সজিনা পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব।
বাতের ব্যথা উপশমে
বাতের ব্যথা উপশমে সজিনা গাছের ছাল বেশ কার্যকর। এই পদ্ধতি বেশ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। সজিনা গাছের ছাল তুলে তা বেটে রস চিপে নিয়ে এই রস নিয়মিত প্রতিদিন ৪-৬ চা-চামচ খেলে বাতের ব্যথা প্রায় ৬৫% উপশম হয়।
দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায়
অনেক সময় দাঁতের মাড়ির সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় ইদানীং অনেককে পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সজিনা পাতা। সজিনা পাতা ১/২ মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন কুলকুচা করতে হবে। এতে মাড়ির সব সমস্যার সমাধান হয়।
পেটের সমস্যা সমাধানে
বহুকাল আগে থেকে সজিনা হজমের সহায়ক খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পেটে গ্যাস হলে, বদহজম হলে এবং পেটে ব্যথা হলে সজিনার তৈরি তরকারির ঝোল খেয়ে নিন। দেখবেন পেটের গোলমাল অনেক উপশম হয়ে গেছে। ডা. আলমগীর মতি