বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
ভেষজ

যবের ছাতুতে পুষ্টি

প্রাচীনকাল থেকেই যবের ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীন মুনি ঋষিদের মুখ্য আহার যবই ছিল এই রকমই প্রচলিত ধারণা। বেদে যজ্ঞের আহূতিরূপে যব দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে— যবের মণ্ড সহজে হজম হয়, মলরোধ করে, শূলনাশ করে ত্রিদোষ (কফ, বাত, পিত্ত) নাশ করে।

যবের রুটি : সহজে হজম হয়, শরীরের বল ও শুক্র বৃদ্ধি করে, কফ নাশ করে, বায়ু ও মল বৃদ্ধি করে।

যবের ছাতু : সহজে হজম হয়, শরীর ঠাণ্ডা করে, বল ও পুষ্টি বৃদ্ধি করে, শুক্র বৃদ্ধি করে, শ্রান্তি, দেহের ঘাম, শরীরের দাহ (জ্বালা) কফ ও পিত্ত নাশ করে, খিদে বাড়িয়ে দেয়, সারক (মল ও প্রস্রাব নিঃসারণ করে), বায়ু নিঃসারণ করে।

খাওয়ার নিয়ম : জলের সঙ্গে পাতলা করে গুলে খেতে হবে। শক্ত করে মেখে দলা পাকিয়ে খেলে অজীর্ণ হয়।

সাধারণত গ্রীষ্মকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য এবং তৃষ্ণা দূর করার জন্য ছাতু খাওয়া হয়। অনেকে নুনের বদলে গুড় দিয়ে মিষ্টি করেও ছাতু গুলে খান।

বার্লি : চালের চেয়ে তাড়াতাড়ি হজম হয়; রোগীর পথ্য হিসেবে এর ব্যবহার। তবে যব শুধু পথ্য হিসেবেই নয়, খাদ্য হিসেবেও এর অনেক গুণ আছে।

হাকিমি মতে বা ইউনানি মতে : যব ঠাণ্ডা আর রুক্ষ। যব স্বাদহীন, মলবন্ধকারক, রক্তপিত্ত কমিয়ে দেয়। নাড়ির গতি ধীর করে, তৃষ্ণা শান্ত করে। পিত্ত বৃদ্ধি, কাশি, মাথাব্যথা, হার্টের অসুখ, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, জ্বর রোগে যব ব্যবহার করা হয়। ডা. আলমগীর মতি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর