শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ছাত্র সংসদ নির্বাচন

শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছেন। ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে তিনি কথায় কথায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণারও সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, কথায় কথায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি অশুভ প্রবণতা। এটি কর্তৃপক্ষের চরম ব্যর্থতা। যদি অভ্যন্তরীণ গোলমালের জন্য পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়, তার জন্য সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে, গোলযোগকারীকে পুলিশে সোপর্দ করতে হবে। কিন্তু এ অজুহাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে অগণিত ছাত্রছাত্রীর জীবন দুর্বিষহ করে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সিন্ডিকেটের কাজ নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রবণতার বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, এটি যারা করে তাদের ব্যর্থতা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, নির্বাচন যখন হবে তখন প্রার্থীরা ভাববেন আমি যদি খারাপ আচরণ করি তবে ভোটাররা আমাকে ভোট দেবে না। সে এমনিতেই সংশোধিত হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে নতুন নেতৃত্ব আসছে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে প্রকারান্তরে জাতীয় ঐকমত্যের প্রতিফলন ঘটেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় যখন যে দল ক্ষমতায় থাকছে সে দলের ছাত্র সংগঠন পেশিশক্তির জোরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে। মুক্তবুদ্ধির চর্চার অভাবে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পেও আক্রান্ত হচ্ছে ছাত্রসমাজের একটি ক্ষুদ্র অংশ। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হচ্ছে শূন্যতা। নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতাও সৃষ্টি হচ্ছে না।  দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে তার অবসানে শুধু ছাত্র সংসদ নির্বাচনই নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সব গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠনের তত্পরতা চালানোর সুযোগ সৃষ্টিরও উদ্যোগ নিতে হবে।  দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে এ ধরনের উদ্যোগ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর