শিরোনাম
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কসোভো থেকে রাখাইন অনেক দূর!

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

কসোভো থেকে রাখাইন অনেক দূর!

একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তি বিপ্লব ও সুপারসনিক জেট বিমান বৈশ্বিক ভৌগোলিক দূরত্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। এটাই বাস্তব ও সত্য। কিন্তু আজকের মিয়ানমার রাষ্ট্র কর্তৃক তাদের নিজ দেশের মানুষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার স্বরূপ আর বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে ১৯৯৮-৯৯ সালে সার্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত কসোভোর আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর ওপর সার্বিয়া রাষ্ট্র কর্তৃক গণহত্যার তুলনা এবং দুই ক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা বিশ্বের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বিশাল পার্থক্য দেখে মনে হচ্ছে আসলে বিশ্ব বিবেক দুই স্থানের ভৌগোলিক দূরত্বের ধান্ধায় পড়ে বুঝে ওঠতে পারছে না মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ক্ষুদ্র জাতি রোহিঙ্গাদের ওপর কত বড় ভয়ঙ্কর দোজখ নেমে এসেছে, যা একবিংশ শতাব্দীতে ভাবা যায় না।

রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ভাগ্য বিপর্যয়ের করুণ কাহিনী অনেক লম্বা। তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাশূন্য করার প্রত্যক্ষ অভিযানে নামে ১৯৭৮ সাল থেকে। ওই বছর অপারেশন ড্রাগন, এই সাংকেতিক নামের সামরিক অভিযান চালায়। তাতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় এবং সামরিক অভিযানের সময় আহত-নিহত হয় অনেক নিরীহ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ, যার সঠিক হিসাব কেউ পায়নি। এই সময় থেকে মিয়ানমারের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ সমস্যা বাংলাদেশের কাঁধে এসে পড়ে। তারপর আর থামেনি। ১৯৯১, ২০১২, ২০১৬ এবং এখন ২০১৭-তে এসে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা নির্যাতন ও নিধনের মাত্রা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার ভয়াবহতা বোঝাতে যথার্থ ভাষা ও শব্দ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ, গণহত্যা, ধর্ষণ, জাতিগত নিধন, মানবিক বিপর্যয়, সভ্যতার লজ্জা, এসব অভিধা একসঙ্গে ব্যবহার করলেও বোধহয় পূর্ণাঙ্গ চিত্র ফুটে ওঠবে না। ১৯৭৮ সাল থেকে গত ২৫ আগস্ট, নতুন অভিযান শুরুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৪০ বছর ধরে কম বেশি পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে, যার ভার এখন বাংলাদেশের জন্য সীমাহীন অসহনীয় হয়ে উঠছে এবং একই সঙ্গে বহুমাত্রিক সামাজিক, রাজনৈতিক, সর্বোপরি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ক্রমাগত জটিল হুমকি সৃষ্টি করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আগামীতে সেটি কত বড় ভূখণ্ডগত ও জাতিগত নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করতে পারে তা ভাবনায় এলে শঙ্কিত হতে হয়। এত বড় একটা আন্তর্জাতিক সমস্যার বোঝা এতকাল বাংলাদেশ প্রায় একাই বহন করে আসছে। অথচ এদের সাহায্য-সহযোগিতা প্রদানের জন্য বা এর স্থায়ী সমাধান বের করার লক্ষ্যে বিশ্ব সংস্থাগুলো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেভাবে এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি। শুধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার জন্য এত বড় একটা আন্তর্জাতিক দায় বাংলাদেশের একার ওপর চাপিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিশ্চুপ থাকা শুধু অন্যায্য নয়, তা অন্যায় এবং আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন, যা বিশ্বের অন্য কোনো সমস্যার বেলায় হয়নি। তবে গত ২৫ আগস্ট যে প্রেক্ষাপট এবং যেভাবে নতুন করে সংকটটি জ্বলে উঠেছে তা সত্যই বড় উদ্বেগের বিষয়। মনে হচ্ছে শুধু মিয়ানমারের ভিতর থেকে নয়, বাইরের কোনো কোনো রাষ্ট্রও চাচ্ছে সংকটটি জ্বলন্ত থাকুক, যা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশন কর্তৃক উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়, ইতিবাচক ভারসাম্যমূলক ও সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটা প্রতিবেদন প্রণয়নের মাত্র ১২ ঘণ্টার মাথায় যা শুরু হলো সেটি ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত এবং অভাবনীয়। যৌক্তিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে কথা বললে সবাইকে স্বীকার করতে হবে সমাধানের পথকে ভুণ্ডুল করার জন্যই আঘাত-পাল্টা আঘাত হয়েছে এবং এটা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে তারাই করেছে যাদের ভূ-রাজনৈতিক বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ বহাল থাকবে যদি রোহিঙ্গা সংকটটিকে জিইয়ে রাখা যায়। কারা এটা করতে পারে এবং কেন করতে পারে সে সম্পর্কে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটা সহযোগী দৈনিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছি বিধায় আজ আর সেদিকে যাচ্ছি না। মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে কারণ বা অজুহাতে ২৫ আগস্ট নতুন করে সেনা অভিযান শুরু করেছে সেটিকে বহুলাংশে খাটো ও দুর্বল করে দিয়েছে বাংলাদেশ এই মর্মে মিয়ানমারের কাছে প্রস্তাব দিয়ে যে, সব ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মূল উৎপাটনের জন্য দুই দেশের সীমান্তে যৌথ অভিযান চালাতে বাংলাদেশ রাজি আছে এবং এই অজুহাতে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। উপরোন্ত এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা গিয়েছে এবং মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের অতিরিক্ত একটা সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। এই অর্থে যে, সন্ত্রাসী বা সশস্ত্র সংগঠনের অজুহাতে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধ করুন। এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি পরিপক্ব, দক্ষ এবং বিচক্ষণ কূটনৈতিক চাল বা পদক্ষেপ। আমরা সবাই জানি যৌথ অভিযানের প্রস্তাব প্রদান ও তার পরিচালনার কৌশল নির্ধারণের মধ্যে পার্থক্য অনেক। গত ৪০ বছর ধরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, বিতাড়ন চললেও এবার সেটি আগের সব বর্বরতার রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সামরিক অভিযান চলছে। সম্পূর্ণ এলাকা সিল করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক সাহায্য ও ত্রাণ সংস্থা, সাংবাদিক, কেউ সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। কত বড় নিধনযজ্ঞ ও গণহত্যা সেখানে চলছে তা অনুমান করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। জাতিসংঘ বলছে, গত তিন সপ্তাহে এক হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। কোনো কোনো সূত্র বলছে নিহতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চিত্র ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে। এ যাত্রায় নতুন করে তিন লাখেরও ঊর্ধ্বে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের আর্তচিৎকার ও অসহায়ত্ব আমাদের মতো ক্ষমতাহীন মানুষকে বিচলিত করলেও বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো একটু আধটু উহ-আহা করেই আবার নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিগত সময়ে বিশ্বের অন্য প্রান্তে ও অঞ্চলে এর চেয়ে কম মাত্রার মানবিক বিপর্যয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের যত বড় শক্তিশালী ভূমিকা দেখেছি তার কিছুই এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে না। ১৯৯৮-৯৯ সালে নিজ রাষ্ট্রের ভিতরে কসোভো অঞ্চলে বসবাসরত আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীকে প্রায় একইভাবে নিশ্চিহ্ন করার পদক্ষেপ নেয় সার্বিয়া। তখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের তৎপরতার দিকে তাকালে বোঝা যায় বিশ্বের বৃহৎ শক্তিবর্গ ও মোড়লরা কত বড় দ্বিমুখী আচরণ করছে। চরম ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। গত শতকের নব্বই দশকের শুরুতে ভূতপূর্ব যুগোস্লাভিয়া ভেঙে যাওয়ার পরপরই সার্বিয়ার অধীনে থাকা কসোভোতে বসবাসরত আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সার্বিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাত বাধে। একপর্যায়ে আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর ভিতর থেকে সৃষ্ট সশস্ত্র সংগঠন কসোভো লিবারেশন আর্মি (KLA)১৯৯৬ সালের ২২ এপ্রিল সার্বিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর চারটি ফাঁড়িতে একসঙ্গে আক্রমণ চালালে সংঘাতটি সশস্ত্র রূপ নেয়। ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দুই পক্ষের আঘাত-পাল্টা আঘাতের মাত্রা নিম্নপর্যায়ে থাকে, যেটিকে সামরিক ভাষায় লো ইন্টেনসিটি অপারেশন (Low intensity Operations) বলা হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালের মার্চ মাস থেকে সার্বিয়ার সেনাবাহিনী একতরফা, নির্বিচার ও সর্বাত্মক সেনা অভিযান শুরু করে। তখন আজকের মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে যে রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, কসোভোতেও ঠিক প্রায় একই রকম মহামানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়। নির্বিচারে নিহত-আহত হয় আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ। কিছু দিনের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পরিষ্কার হয়ে ওঠে হত্যা, নির্যাতন, জ্বালাও-পোড়াও কৌশলের মাধ্যমে সার্বিয়ান সরকার সব আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন ও বিতাড়নের পরিকল্পনা নিয়েছে, যেমনটি আজ করছে মিয়ানমার সরকার। তখন কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ৮ লাখ মানুষ জীবনের মায়ায় পার্শ্ববর্তী আলবেনিয়া, মেসোডোনিয়াসহ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। কসোভোর ভিতরে বাস্তচ্যুত হয় আরও কয়েক লাখ। সাত-আট হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়। সব বুদ্ধিভিত্তিক উপলব্ধির কথা, একটা জাতিগোষ্ঠীকে হত্যা, নির্যাতন ও বিতাড়ন করে কোনো রাষ্ট্র কোনো দিন কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারেনি এবং কখনো পারবেও না। বরং সমস্যার আরও বিস্তৃতি ঘটবে, জটিল হবে এবং সেটি তখন শুধু ওই দেশের জন্য নয়, আশপাশের সব রাষ্ট্রের জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার সংকট সৃষ্টি করবে। তাই কসোভোর সংকট সমাধানে তখন শুরু হয় জাতিসংঘ, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের জোর কূটনৈতিক তৎপরতা। মার্কিন অ্যাম্বাসেডর হলব্রুক বেলগ্রেডে ছুটে যান, বোঝানোর চেষ্টা করেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টকে, কথা না শুনলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকিও দেন। কিন্তু সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলোসোভিস ও তার সেনাবাহিনী আজকের মিয়ানমারের মতোই সব কিছুকে উপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসের ২৪ তারিখে ন্যাটো বাহিনী সম্মিলিতভাবে আকাশ থেকে সার্বিয়ার ওপর বোমাবর্ষণ শুরু করে। একনাগাড়ে তিন মাস বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখে। তারপর সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলোসোভিস হুঁশে আসেন। কিন্তু ততদিনে মিলোসোভিসের কথার আর কোনো মূল্য থাকে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। এর মধ্যে ১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ১১৬০ নম্বর প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং তার মাধ্যমে জাতিসংঘের চার্টারের সপ্তম অধ্যায়ের বলে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্তসহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কয়েক মাসের মধ্যে ন্যাটো সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রায় ১৩ হাজার টন খাদ্য, পানি, তাঁবু ও ওষুধ শরণার্থীদের জন্য সরবরাহ করা হয়। তারপর কসোভোর ওপর সার্বিয়ার সব কর্তৃত্ব খর্ব করে ১৯৯৯ সালের ১০ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয় রেজুলেশন নম্বর ১২৪৪, যার মাধ্যমে কসোভোর সব কর্তৃত্ব গ্রহণ করে জাতিসংঘ বাহিনী। সুহৃদয় পাঠকরা এবার একটু তুলনা করুন কসোভো আর রাখাইনের মধ্যে। এই হলো আমাদের জাতিসংঘ এবং বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা ও চরিত্র। প্রায় তিন সপ্তাহ পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা মিয়ানমার পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। চীন, রাশিয়া সরাসরি মিয়ানমার সরকারের পক্ষ নিয়েছে। অপর অঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি ভারত ধরি মাছ না ছুঁই পানি, এই কৌশলে আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই সময়ে মিয়ানমার সফর করলেও রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে নিশ্চুপ থেকেছেন, একটি কথাও বলেননি। অসহায় মানুষের আর্তনাদ আজ রাষ্ট্রীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থের কাছে পরাজিত। সবার উপরে মানুষ সত্য, মর্মস্পর্শী এই বাণী আজ নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। ভূপেন হাজারিকা আজ বেঁচে থাকলে মানুষ মানুষের জন্য এই গানটি গাওয়া বোধহয় বন্ধ করে দিতেন। রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ বিশ্বশক্তির গগনসম উচ্চতায় পৌঁছাতে পারছে না। ভূ-রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও স্বার্থের রঙিন চশমা পরে দেখছে বিধায় বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রের কাছে কসোভো থেকে রাখাইন আজ অনেক দূরে।

লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর