সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

অফুরন্ত সওয়াব রয়েছে যেসব দোয়ায়

মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির। (আল্লাহ ছাড়া কোনো হক উপাস্য নেই। তিনি এক তার কোনো শরিক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য সব প্রশংসা। তিনি সব বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান) পাঠ করবে,  সে ১০ জন কৃতদাস মুক্ত করার সওয়াব পাবে, তার জন্য ১০০টি পুণ্য লেখা হবে, ১০০টি গুনাহ মোচন করা হবে, সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে শয়তান থেকে নিরাপদ রাখা হবে। তার চেয়ে উত্তম আমল আর কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। কিন্তু তার কথা ভিন্ন যে এর চেয়ে বেশি আমল করে।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে এবং সন্ধ্যায় ১০০ বার পাঠ করবে; সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি। তার সমুদয় পাপ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়। কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উত্তম আমল নিয়ে আর কেউ আসতে পারবে না, তবে তার কথা ভিন্ন যে অনুরূপ বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।’ ‘দুটি কালেমা উচ্চারণে সহজ, সওয়াবের পাল্লায় ভারী এবং আল্লাহর কাছে অতীব পছন্দনীয়। তার একটি হলো— সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। ‘(আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সঙ্গে। মহান আল্লাহ অতি পবিত্র)।’

যে ব্যক্তি পাঠ করবে : সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়াবি হামদিহি। ‘(মহান আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তার প্রশংসার সঙ্গে)।’ যে ব্যক্তি এ কালেমা পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ লাগানো হবে।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি গুপ্তধনের সংবাদ দিব না? আমি বললাম, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। (আল্লাহর শক্তি ও সামর্থ্য ছাড়া কোনো উপায় নেই)। যে ব্যক্তি তিনবার জান্নাত প্রার্থনা করবে, জান্নাত বলবে হে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। যে ব্যক্তি তিনবার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে, জাহান্নাম বলবে হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে আশ্রয় দান কর।

‘কোনো বৈঠকে বসে যদি অতিরিক্ত কথাবার্তা হয়, আর সেখান থেকে উঠে যাওয়ার আগে এই দোয়াটি পড়ে : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবি হামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা। (হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সঙ্গে তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তওবা করছি)। তাহলে উক্ত বৈঠকের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’

লেখক : ইসলামী গবেষক।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর