মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা

যথাযথ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিন

সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার যথেচ্ছতায় লাগাম পরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় যে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে তাতে আগামী শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্যবইয়ের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। তবে প্রথম শ্রেণির ক্ষেত্রে আগের মতোই লটারির মাধ্যমে ভর্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নতুন ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। সভায় ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত হলেও ফরম বিতরণ ও পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ হয়নি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে তা চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবক বদলি হয়ে আসার ছয় মাস পর ভর্তির জন্য আবেদন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভর্তি ফরম বিতরণ ও ভর্তি পরীক্ষা শেষ করতে হবে। আর ক্লাস শুরু হবে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি। এই নীতিমালা ভর্তির ক্ষেত্রে যে যথেচ্ছতা বিরাজ করছিল তার অবসান ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি অনেক স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় এমন সব প্রশ্ন করা হতো যা সংশ্লিষ্ট শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জানার কথা নয়। দ্বিতীয় শ্রেণির পরীক্ষায় এমন সব প্রশ্ন করা হতো যার জবাব দেওয়া ওপরের ক্লাসগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্যও ছিল দুরূহ। নতুন নীতিমালায় এই যথেচ্ছতায় লাগাম পরানো হয়েছে। রবিবারের বৈঠকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফরমের মূল্য ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা করা হয়েছে। ২০১১ সালের পর ভর্তি ফরমের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি এই যুক্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষার নতুন নীতিমালা প্রশংসার দাবিদার। এ নীতিমালা কার্যকর হলে ভর্তি পরীক্ষার নামে যে রমরমা কোচিং বাণিজ্য হয় তা অনেকাংশে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তাদের প্রণীত নীতিমালা ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা সেদিকেও নজর রাখতে হবে। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে ভালো নীতিমালাও কোনো সুফল বয়ে আনতে পারবে না।

সর্বশেষ খবর