শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাহাড়ে আতঙ্ক বাড়ছে

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নিন

পার্বত্য এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও অপহরণের মহোৎসব শুরু করেছে পাহাড়ি কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠন। রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে পাঁচ ইউপি সদস্যসহ ২০ জনকে অপহরণ করেছে একটি সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনের সদস্যরা। অপহূতদের সবাই গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের সমর্থক। অপহূতদের স্বজনদের দাবি, ইউপিডিএফের সশস্ত্র ক্যাডাররা এ অপহরণের সঙ্গে জড়িত। ইউপিডিএফের সশস্ত্র ক্যাডারদের তৎপরতায় সাম্প্রতিক সময়ে তিন পার্বত্য জেলা অশান্ত হয়ে উঠেছে। পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে পার্বত্য জেলাগুলোর মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও প্রভাব বিস্তারের নোংরা খেলায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বিরোধিতাকারী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) যা ইচ্ছা তাই করা শুরু করেছে। এ দলটি পাহাড়িদের আওয়ামী লীগ করার ব্যাপারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গত ৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর মাত্র ১৩ দিনে প্রাণভয়ে ৫১৬ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী দলত্যাগ করার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছেন। গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ তাদের নেতাকর্মী-সমর্থকদের অপহরণের সঙ্গে ইউপিডিএফ জড়িত বলে অভিযোগ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির ক্ষেত্রে জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলার পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের অভিযোগ, ইউপিডিএফ দলমত নির্বিশেষে জুম জনগণকে জিম্মি করে ফেলছে। এ সংগঠনের ভয়ে অন্যান্য সংগঠন তো বটেই তাদের ভিন্নমতাবলম্বী অনেক নেতা-কর্মী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পাহাড়ে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে পাহাড়ি সংগঠনগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে পার্বত্য তিন জেলার শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। শান্তি চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন এবং এর সুফল পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি বাঙালি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া বাধার মুখে পড়ছে।  দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।  এ দায়িত্ব পালনে পার্বত্য জেলায় সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। পার্বত্য এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের উদ্যোগ নিতে হবে। সশস্ত্র তৎপরতা তথা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর