শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

দ্বিতীয় মুহম্মদের সাফল্য

কনস্টান্টিনোপল বিজয় নিঃসন্দেহে সুলতান দ্বিতীয় মুহম্মদের রাজত্বের পূর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং সমরাভিযানের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি। এর ফলেই তিনি ‘বিজেতা’ উপাধি লাভ করেন; কিন্তু বায়জানটাইন সাম্রাজ্য দখল করা ছাড়াও তিনি তার দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজত্বকালে অপরাপর অঞ্চল অধিকার করে সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি করেন। এই অভিযানসমূহ এশিয়া মাইনর ও ইউরোপ ভূখণ্ডে পরিচালিত হয়। সুলতান মোরিয়া ও বসনিয়ায় অভিযান করে এ দুটি মিত্র করদ রাজ্য তুর্কি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। ওয়লাচিয়া ও ক্রিমিয়া তুর্কি সুলতানদের অধীনে মিত্ররাজ্যে পরিণত হয়। ১৪৫৫ খ্রিস্টাব্দে তুর্কি বাহিনী পেলোপনেসাস দখল করে। কনস্টান্টিনোপল জয়ের পর পশ্চিমদিকে সমরাভিযান কল্পে সুলতান ১৪৫৬ খ্রিস্টাব্দে হাঙ্গেরি অভিযান করেন। বায়জানটাইন রাজ্যের পতনে খ্রিস্টান ইউরোপের দ্বারা তুর্কিদের কাছে উন্মোচিত হয়ে পড়ে এবং একমাত্র রুমানিয়ার বেলগ্রেড, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে মুসলিম অভিযানের পথ রুদ্ধ হয়। ‘হাঙ্গেরি দ্বার’ নামে অভিহিত বেলগ্রেডে সুলতান স্বয়ং দেড় লক্ষাধিক সৈন্যসহ অভিযান করেন। এ অভিযানে পোপ ও খ্রিস্টান রাজন্যবর্গ শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং হাঙ্গেরির জাতীয় বীর হুনিয়াদি যেত জন কাপিট্রান ধর্মযোদ্ধাদের সহায়তায় তুর্কিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এমনকি পোপ দ্বিতীয় ক্যালিস্কটাস মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান রাজনবর্গকে অস্ত্র ধারণে প্ররোচিত করেন। কারণ তাদের আশঙ্কা ছিল যে, বেলগ্রেডের পতন হাঙ্গেরি ও ভিয়েনাতে অভিযান ত্বরান্বিত করবে। তুর্কিদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হাঙ্গেরীয়দের কাছে তাদের বিপর্যয় ঘটে।

জাফর খান

সর্বশেষ খবর