বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

কমনওয়েলথ সম্মেলন

বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের পথ দেখাক

লন্ডনে শুরু হয়েছে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশভুক্ত ৫৩টি দেশের জোট কমনওয়েলথের শীর্ষ সম্মেলন। একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তৃত হয়েছিল দুনিয়াজুড়ে। বলা হতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য ডোবে না। কালের বিবর্তনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত দেশগুলো এখন ৫৩টি স্বাধীন দেশ। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশ একসময়ের প্রভু ব্রিটেনের চেয়েও শক্তিশালী। একের পর এক উপনিবেশ হাতছাড়া হওয়ার পরও কমনওয়েলথের মাধ্যমে ব্রিটেন বিশ্ব রাজনীতিতে তার নেতৃত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে কমনওয়েলথ জোটও তার গুরুত্ব হারাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে লন্ডন শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সোমবার কমনওয়েলথ বাণিজ্য ফোরামের উদ্বোধনী ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বাণিজ্য ক্ষেত্রে কমনওয়েলথের অভিন্ন মান নির্ধারণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণের মাধ্যমেই সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসতে পারে। কমনওয়েলথের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে সম্মেলনের বিরতি সময়কালে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানকারী বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করারও সুযোগ নেবেন। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের প্রয়াস নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ঘটনা। কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের উদ্যোগ সবার জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে। পাশাপাশি অভিবাসন ক্ষেত্রে কমনওয়েলথের মাতৃদেশ ব্রিটেনের আরও উদার মনোভাবও সদস্য দেশগুলোর জন্য কাঙ্ক্ষিত। কমনওয়েলথের বন্ধন দৃঢ় করতে ব্রিটেনের পাশাপাশি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকেও এ ব্যাপারে আরও উদার হতে হবে। কমনওয়েলথের দেশগুলো বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অভিন্ন পথে চলার সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তারা নেতৃস্থানীয় শক্তিতে পরিণত হওয়ার সুযোগ পাবে। বিশ্বের পৌনে ২০০ কোটিরও বেশি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তা অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। আমাদের বিশ্বাস, লন্ডনের শীর্ষ সম্মেলন কমনওয়েলথের অর্থবহ ভূমিকা নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর