শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আমিরাত থেকে আসা সুসংবাদ

সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য

বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম ক্ষেত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে দীর্ঘ পাঁচ বছর বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ থাকার পর বদ্ধদুয়ার খুলে দেওয়া হয়েছে। দুবাইয়ে গত বুধবার দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে আমিরাতের ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে কাঙ্ক্ষিত এ চুক্তি। ২০১২ সালের ১২ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত নিরাপত্তার অজুহাতে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় দেশটিতে নতুন করে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া বন্ধ ছিল। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের সমঝোতা স্মারকে আমিরাতে বাংলাদেশ থেকে ১৯ ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এতে কর্মী নিয়োগের পদ্ধতি, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব-কর্তব্য, কর্মীদের অধিকার, সুযোগ-সুবিধা ও দায়িত্ব-কর্তব্য, নিয়োগ চুক্তির বিধান এবং পৃথক একটি বিরোধ নিষ্পত্তিব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে। কর্মীদের স্বার্থরক্ষায় আমিরাতে ২০১৭ সালে কার্যকর আইনের আলোকে সম্পাদিত চুক্তিতে শ্রমিক, মালিক ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্য অর্জনের বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের বন্ধ থাকা শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় কর্মপ্রত্যাশী লাখ লাখ যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দেশের  অর্থনীতির জন্যও তা আশীর্বাদ বয়ে আনবে। আশা করা হচ্ছে আরব আমিরাতের ইতিবাচক মনোভাব সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য বাজারে সুবাতাস বইতে সাহায্য করবে। আমিরাতের সঙ্গে চুক্তিটির সফল বাস্তবায়নের ওপর লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা তথা কর্মসংস্থান নির্ভরশীল। একই সঙ্গে নির্ভরশীল দেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রার বিষয়টি। সেহেতু চুক্তি মেনে চলার ক্ষেত্রে জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর