শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

কমনওয়েলথের সংস্কার

সৃষ্টি হোক সহযোগিতার পরিবেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ দেশগুলোর চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে অর্ধশতাধিক জাতির এ সংস্থাটির সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন। কমনওয়েলথের ব্যাপক সংস্কারের উদ্দেশ্যে তিনি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি গ্রুপ গঠনেরও প্রস্তাব করেছেন। বৃহস্পতিবার লন্ডনে দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথ সরকারপ্রধানদের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সংস্কারের আহ্বান তাৎপর্যের দাবিদার। কমনওয়েলথকে এগিয়ে নিতে হলে সময়ের চাহিদার পাশাপাশি সদস্য দেশগুলোর প্রত্যাশা পূরণের দিকেও নজর দিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সংস্থাটি যাতে স্বপ্নদর্শী হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। কমনওয়েলথের বিভিন্ন ব্যবস্থা ও উদ্যোগ বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে অনুসরণ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিবের ঘোষিত ২০২০-২১ কৌশলগত পরিকল্পনার প্রশংসার পাশাপাশি ২০৩০ উন্নয়ন এজেন্ডারও প্রশংসা করে বলেন, কমনওয়েলথ ঘোষণায় কানেকটিভিটি, সাইবার সিকিউরিটি, গভর্নেন্স বিষয়ে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের উচিত একটি প্রায়োগিক অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা। নাজুক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ মিনিস্ট্রিয়াল অ্যাকশন গ্রুপের ভূমিকা স্পর্শকাতর অভিহিত করে তিনি বলেন, সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভালোভাবে বুঝে সে অনুযায়ী এবং কমনওয়েলথের ঐক্যের চেতনা সামনে রেখে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। গণতন্ত্র ও সুশাসন, আইনের শাসনই এ সংস্থার লক্ষ্য থাকতে হবে। কেননা এগুলো হলো টেকসই কমনওয়েলথের শান্তি ও স্থিতিশীলতার মূল ভিত্তি। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর গণতন্ত্র রক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে সহায়তা ও সম্পৃক্ত হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল কমনওয়েলথ নামের স্বাধীন দেশগুলোর জোট। সন্দেহ নেই, বিশ্বপরিসরে এ জোট বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের যেসব সাধারণ সূত্র রয়েছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে তাতে সব জাতিই লাভবান হবে। কমনওয়েলথের অস্তিত্ব তথা অগ্রযাত্রা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অর্ধশতাধিক দেশের এই জোটে যুগোপযোগী সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

এ ব্যাপারে সব দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর