রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মমতা কি তিস্তায় এক আঁজলা পানি দেবেন?

মাকিদ হায়দার

মমতা কি তিস্তায় এক আঁজলা পানি দেবেন?

বৈদ্যনাথতলা বললে আজকাল অনেকেই চিনতে পারেন না, যেন ওই নামের সঙ্গে কোনোকালেই পরিচয় হয়নি, এমনকি শুনেছেন বলে মনেই হলো না। বিশেষত নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে নামটি যেন নতুন। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিকালে ওই বৈদ্যনাথতলাতেই ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছিল আজকের বাংলাদেশের। সময়টি ছিল বাঙালিদের জন্য বৈরী, অসম্ভব পরিবেশ-পরিস্থিতি। সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ থেকে শুরু করে ২৬ মার্চেই নির্ধারিত হয়েছিল বাঙালির ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের দায়। বাঙালিদের হাতেই। যার পূর্বাভাস আমরা পেয়েছিলাম ইতিহাসের সেই উজ্জ্বলতম দিনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে। ৭ মার্চ ১৯৭১-এর দিনটি ছিল রবিবার। এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দদ্বয় উপহার/উপাধি দিয়েছিলেন ২৩-২-১৯৬৯ সালে তৎকালীন প্রখ্যাত ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ। সেই রবিবারের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করেছিলেন মাত্র ১৮ মিনিট ২৭ সেকেন্ড এবং সেই ভাষণের শব্দ সংখ্যা ছিল ১১০৮টি, সেই ১১০৮টি শব্দের মধ্যেই ছিল নির্দেশ। স্বাধীনতা। মুক্তি। অস্ত্র। এবং রক্ত। তার সেই ভাষণেই কিংবা সেই শব্দগুচ্ছের ধারাবাহিকতায় বাঙালিরা নিশ্চিত হয়েছিলেন, সূর্যোদয়ের আগে রাতের আঁধার থাকবেই।

সেই আঁধারের নেপথ্যে ছিল এ দেশের মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং নুরুল আমিন ও আমেনা বেগমের পিডিবি। ওই সব দলের রাক্ষুসে রূপ আমরা দেখেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার স্বল্পকালীন সময়ের পরেই। তবে তার আগে মেহেরপুরের সেই বৈদ্যনাথতলায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সাল। নেতৃবৃন্দ পৃথিবীর সব মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তান সরকারের মিলিটারিরা পূর্ব-পাকিস্তানের ওপর কীভাবে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল তারই নির্মম বর্ণনা।

বেশ কয়েক বছর আগে মেহেরপুর গিয়েছিলাম সরকারি কাজে। আমার সফরসঙ্গী অফিসারটির উৎসাহেই গিয়েছিলাম বৈদ্যনাথের আমবাগানে। আমবাগানে ঘুরতে ঘুরতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার কথা মনে পড়ল—তিনি ভাগ্যাহত মানুষ এবং ঘরের শত্রু বিভীষণই ছিল তার চারপাশে, অবিভক্ত ভারতের বাংলায় এমনি এক আমবাগানে নবাবের দিনের সূর্য অস্তমিত হলেও হয়নি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানের। সেই ১৭ এপ্রিল অর্থাৎ বাংলা নববর্ষের ১৩৭৮-এর বৈশাখের দাবদাহ উপেক্ষা করে অজস্র দেশপ্রেমিক, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন নতুন একটি দেশের জন্মলগ্নে বোধ হয় সেই দিন দাউদকান্দির সেই বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। যাকে একদিন বঙ্গবন্ধু বিশ্বস্ততার নিগঢ়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন নিজ বক্ষে। যেমন দিয়েছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফর আলী খানকে।

ব্রিটিশ শাসনামলে নদীয়া জেলার অধীনে ছিল কুষ্টিয়া। একটি মহকুমা পরবর্তীতে দেশভাগের পরে কুষ্টিয়া মহকুমাকে জেলা নামে পাকিস্তান সরকার স্বীকৃতি দিলেও ঠিক তার ৩৫-৪০ বছর পরে ওই কুষ্টিয়া জেলাকে ভেঙে আরও দুটি জেলা বানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা এবং মেহেরপুর। মেহেরপুরই বোধহয় বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। আমি সেই জেলাতে গিয়েই জানতে চেয়েছিলাম বৈদ্যনাথতলা কোন দিকে।

নতুন প্রজন্মের ছেলেটি কিছুতেই চিনতে পারল না। এমন সময় এক বয়সী ভদ্রলোক এসে জানতে চাইলেন ১. আসা হলো কোথা থেকে; ঢাকা থেকে। ২. যাওয়া হবে কোথায়! বললাম বৈদ্যনাথতলায়। ৩. জিপটি তো মনে হচ্ছে সরকারের, বললাম হ্যাঁ। ৪. শেষ প্রশ্ন ছিল বাড়ি কোথায়? বললাম পাবনায়। ভদ্রলোক একটু হেসে জানালেন, ১৯৭১ সালের বোশেখ মাসে আমাদের ওই বৈদ্যনাথতলায় অনেক মানুষ ঢাকা থেকে এসেছিলেন, কারও নাম আগে না শুনলেও শুনেছিলাম আমাদের পাবনার ক্যাপ্টেন মুনসুর আলীর নাম। তিনি তো উকিল ছিলেন, আমাদের এক আত্মীয়ের একটি মামলায় উকিল ছিলেন ওই ক্যাপ্টেন সাহেব। সে মামলায় আমার শ্যালক জিতে গিয়েছিল ও তখন পাবনার ফুড গোডাউনে চাকরি করত। ভদ্রলোকের সারল্যে অভিভূত হলাম যখন তিনি চায়ের নিমন্ত্রণ জানালেন এবং আরও জানালেন, ১৯৭১ সালের খণ্ড খণ্ড স্মৃতির কথা। হাজার হাজার মানুষ পিঁপড়ের স্রোতের মতো অসহনীয় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে পায়ে হেঁটে চলে গেল ভারতের মাটিতে। নতুন প্রজন্মের ছেলেটিকে জানিয়ে দিলেন, সে দিনের সেই বৈদ্যনাথতলা আজকের মুজিবনগর। স্মৃতিসৌধ দর্শনীয় স্থান। স্মৃতিসৌধের কথা অনেক আগেই আমাকে জানিয়েছিলেন বগুড়ার কবি ইসলাম রফিক, শিবলি মুক্তাদির এবং ঠাকুরগাঁওয়ের কবি গদ্যকার, চিত্রী রাজা সহিদুল আসলাম।

গত ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৪০তম জন্মদিনের আমন্ত্রণে ঢাকা থেকে কবি ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, উপন্যাসিক নাসরিন জাহান, কবি ফরিদ আহমদ দুলাল, আশরাফ আহমদ, আমি, উম্মে মুসলিমাসহ অনেকেই ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন। চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের অন্যতম কর্মী এবং কবি নজমুল হেলালের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী সেই বিখ্যাত চুয়াডাঙ্গায় পদধূলি দিয়েছিলেন আরও অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তি। সাহিত্য পরিষদের চল্লিশ বছরের কর্মকালের-কর্মকাণ্ডের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সর্বজনবিদিত। এবারের বর্ষপূতিতে এপার বাংলা ওপার বাংলা সাহিত্য সম্মেলন ২০১৭ আয়োজনে দুই পারের কথাসাহিত্যিকদের মিলনের সেতুবন্ধের দায়িত্বে ছিলেন সংসদ সদস্য আলী আসগর টগর, শিরিন নাঈম পুনম, সংসদ সদস্য মহিলা আসন-৯, পৌরপিতা ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দিন আহমদ, সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন, সংসদ সদস্য।

বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা থেকে এমনকি কুয়াকাটা, সীতাকুণ্ড-খেপুপাড়া, পটুয়াখালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানের কবি-গদ্যকার চৌধুরী বাবুল বড়ুয়াসহ সিলেটের কবি পুলিন রায় ১৬ ঘণ্টা বাসে চেপে এসেছিলেন চুয়াডাঙ্গার ৪০তম দুই দিনের সাহিত্য পরিষদের পরিছন্ন জন্মোৎসবে। শুধু কবিতাকে ভালোবেসে, দু-একটি কবিতা পাঠের জন্য। সেহেতু পুলিন রায় শিল্প এবং কবিতাপ্রেমিক শব্দটি নিঃসন্দেহে তার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে, না হলে তিনি ১৬ ঘণ্টা ব্যয় করে আসতেন না। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন আনোয়ারা সৈয়দ হক। এপার বাংলায়, আর ওপার বাংলার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার। যার বিখ্যাত উপন্যাস ‘ফুলবার্ড’। ওই উপন্যাসের জন্য তিনি পেয়েছিলেন ‘আনন্দ’ পুরস্কার, আনন্দবাজার পত্রিকার পক্ষ থেকে। এপার বাংলার আনন্দবাজার পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যের জন্য হাসান আজিজুল হক। তার আগুন পাখি উপন্যাসের জন্য, এবং বিখ্যাত উপন্যাস খোয়াবনামার জন্য আনন্দ পুরস্কার পেয়েছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।

কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার আমাকে জানালেন, তিনি লালন ফকিরের মাজারে যাবেন। কেননা, তার পূর্ব পুরুষেরা ছিলেন বাউল দর্শনের অনুসারী। বাশারের তথ্যভাণ্ডার অপরিসীম। তিনি প্রায় ছয়-সাতটি ভাষা আয়ত্তে রেখেছেন।

দুই দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ৪০ বছর পূর্তিতে কবি নজমুল হেলাল বার বার কলকাতার বেহালা পেরিয়ে সোনারপুর গ্রামে গিয়ে অনেক অনুনয়ের পর কথাসাহিত্যিক আবুল বাশার এই প্রথম বাংলাদেশে এলেন। কেননা, আগে বাশারকে বাংলাদেশ সরকার একটি বইয়ের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন, যে বইটিতে হাদিস সম্পর্কে অন্যরকম ব্যাখ্যা প্রদানের কারণেই বাংলাদেশে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি সেই বইটিরও প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল এ দেশে এবং এখন অবধি নিষিদ্ধই আছে। বাশারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১০-১২ জনের একটি দলের ভিতরে ছিলেন কবি, গল্পকার, গায়িকা, গল্প লেখক পার্থ আচার্য। কবি পঞ্চতপা মুখার্জি। লালন শিল্পী বিথী ব্রহ্মা। কবি অভীক ঘোষ, অংকন বাশার, তারেক কাজী এরাই পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-সাহিত্যে স্বনামে প্রতিষ্ঠিত।

প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার কবিতা উৎসবের কথা। (১) ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে রাজশাহীর ‘কবিকুঞ্জ’ আয়োজন করেছিল কবি জীবনানন্দ মেলা, কবিকুঞ্জের আমন্ত্রণে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কবি গল্পকারেরা। উদ্বোধক ছিলেন হাসান আজিজুল হক ও একজন সংসদ সদস্য। ওই একই বছরের অক্টোবর মাসে বগুড়া লেখকচক্রের ২৯তম জন্মদিনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন কবি মলয় চন্দন মুখার্জি, ভাস্কর চক্রবর্তী। ঢাকা থেকে কবি আসাদ মান্নান, অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, সংগীতশিল্পী নাজমা মান্নান, কবি নাসির আহমদ এবং আমিসহ আরও অনেকেই ছিলাম ২৯ম জন্মদিনে। বগুড়া লেখকচক্রের চক্রীদের প্রধান কবি ইসলাম রফিক, শিবলি মোকতাদিও, জিএস রউফ, চিত্রী ঠাণ্ডা আজাদ, প্রদীপ ভট্টচার্য, কবি সিকতাকাজল, গল্পকার হোসেন আরা মনি। উদ্বোধক ছিলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট কথাশিল্পী এবং কথক হাসান আজিজুল হক। অপরদিকে রাজশাহীর কবিকুঞ্জের প্রাণপুরুষ প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, কবি আরিফুল হক কুমার, আলমগীর মালেক, কামরুল বাহার আরিফ, মায়েদা বীথি। এদের একান্ত প্রচেষ্টায় ধর্মান্ধ রাজশাহীতে বিগত পাঁচ বছর জীবনানন্দ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের কবিদের নিয়ে। বগুড়া, রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইলসহ মোট চারটি জেলায় শিল্প-সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দু গড়ে উঠলেও টাঙ্গাইল সাহিত্য সংসদই আতিথেয়তায় এগিয়ে আছে। গত জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কবিতা, গল্প, নাটক নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন ৫৫ জন লেখক-লেখিকা, শ্যামলকান্তি দাসের সঙ্গে। শ্যামল যেহেতু নিজে একজন নামকরা কবি, তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রীসহ আরও ৫৩ জনকে। কবি নৃপেন চক্রবর্তী, কবি নলিনী বেরা, শিল্পী শ্যামলজনোসহ আরও অনেকেই। টাঙ্গাইলের শিল্প-সাহিত্যের আসর এবার নিয়ে চারবার হলো। [সম্ভবত প্রথমবার হয়েছিল ২০০২ সালে। সেটি হিসাব করলে পাঁচবার হবে]। প্রাণপুরুষ ফজলুর রহমান খান, কবি মাহবুব খান বুলবুল এবং কবি মাহমুদ কামালের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা, তাদের ওই আয়োজনের জন্য।

চুয়াডাঙ্গায় আবুল বাশার জানালেন, তিনি এবং তার দল এবার বাংলাদেশ থেকে ১০-১৫ জন কবিকে আমন্ত্রণ জানাবেন। কথাটি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেই আমার ধারণা। ওই কথাটি যদি পূর্ব মেদিনীপুুরের প্রয়াত তমালিকা শেঠের স্বামী লক্ষ্মণ শেঠ বলতেন, অন্তত আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতো।

উপন্যাসিক ‘ফুলবার্ড’-এর লেখক আবুল বাশারকে ধন্যবাদ। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের হাজার কয়েক কবি, গল্পকার এসেছেন, তারা ভুলেও বলেননি। যা হোক আবুল বাশার তবু বললেন। তার অনেক আগেই রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘ভাষা নদীর স্রোতের মতো—তাহার উপরে কাহারও নাম খুদিয়া রাখা যায় না।’ (বিদ্যাসাগর চরিত)।

যেহেতু এপার বাংলা ওপার বাংলায় বাংলা ভাষা এখনো জীবিত আছে বলেই শিল্প-সাহিত্যের বন্ধনটি দৃঢ়। তবে আরও দৃঢ় হবে তিস্তায় পানি দিলে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিস্তায় আমাদের এক আঁজলা পানি কি দেবেন?

লেখক : কবি।

সর্বশেষ খবর