সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

উঠতি তরুণদের গ্যাং গ্রুপ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কাম্য

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার জন্য অন্যতম প্রধান সমস্যা উঠতি বয়সী তরুণদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন গ্যাং গ্রুপ। ঈদকে সামনে রেখে হঠাৎ করে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজধানীর গ্যাং গ্রুপগুলো। চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়াচ্ছে গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। রাজধানীজুড়ে নামে-বেনামে অসংখ্য গ্যাং বা চক্র এখন সক্রিয়। শুরুতে এসব গ্রুপের সদস্যরা ফ্যাশন, ফ্যান্টাসিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর সব অপরাধে। এদের অনেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাতিয়ার হিসেবে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে খুনখারাবি পর্যন্ত ঘটাচ্ছে তারা। মাহে রমজান শুরু হতে না হতেই বাড়িওয়ালা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঈদ বকশিশের নামে চিরকুট পাঠানো শুরু করেছে গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্যরা। তাদের তৎপরতায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হলেও নির্বিকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব গ্রুপ গঠনে নেপথ্য ভূমিকা পালন করছে রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনের তথাকথিত নেতারা। কিশোর গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলে তাদের গডফাদাররা ফোন করে বসেন। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্যাং গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে সংশয়ে ভোগে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের অশুভ উদ্দেশ্যে উত্থান হওয়া এসব গ্যাং গ্রুপের দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে খুনখারাবি করতেও দ্বিধা করে না গ্যাংস্টাররা। মাঝে কিছু দিন দমে গেলেও রমজানে বিভিন্ন এলাকায় বখে যাওয়া কিশোরদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরবাসী। বিভিন্ন বাসাবাড়ির বাসিন্দাদের কাছে এরা ‘সাহরি পার্টি’ নামেও হাজির হচ্ছে। বেপরোয়া এসব কিশোরের ভয়ে অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। বখে যাওয়া এসব কিশোরের বয়স ১৩ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।  তাদের অনেকেই চাঁদাবাজির পাশাপাশি ছিনতাই এমনকি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলার জন্য সাক্ষাৎ হুমকি হিসেবে বিবেচিত গ্যাং গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেমন সক্রিয় হতে হবে তেমনি রাজধানীর কাউন্সিলর তথা জনপ্রতিনিধিদের নজরদারি বাড়ানোও জরুরি।  বখে যাওয়া তরুণদের অভিভাবকদেরও দায়বদ্ধতার আওতায় আনতে হবে, যাতে তারা সন্তানদের নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হন।

সর্বশেষ খবর