শসা সেই আদিকাল থেকেই এদেশে রয়েছে। প্রায় সব ব্যস্ত এলাকায় শসাওয়ালাদের অবাধ ঘোরাফেরা। নগরবাসীও চলার পথে কাজের ফাঁকে শসাওয়ালাদের কাছে ঢুঁ মারেন। পেটে খিদে, রাস্তায় জ্যাম, বাড়ি ফিরতে ঢের দেরি তো খাও শসা। শখ করে কিংবা হেলাফেলা করে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, শসা কিন্তু শরীরের জন্য ভারি উপকারী। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, উচ্চরক্তচাপে যারা ভোগেন শসা তাদের জন্য ভালো ওষুধ। নিয়মিত শসা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। শসা ভিটামিন ‘সি’ এর খুব ভালো উৎস। খনিজ মলিবডেনামও আছে প্রচুর পরিমাণে। এ ছাড়া শসায় আছে ভিটামিন ‘এ’, পটাশিয়াম, ম্যাংগানিজ, ফোলেট, পাচক অংশ এবং ম্যাগনেসিয়াম। আবার সারা দিনে কাজের চাপে খাওয়া হয়ে ওঠেনি কিছুই। পুরনো সেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথাটা একটু একটু করে জানান দিচ্ছে। এখানেও কিন্তু শসা। গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসারের চিকিৎসায় শসার রস খুব উপকারী। এ তো গেল রোগের কথা, যারা সৌন্দর্য সচেতন শসা তাদের কাছে বাড়তি কিছু। শসার রসে আছে সিলিকন যা ত্বকের রং ও স্বাস্থ্য উন্নত করে। তাছাড়া এতে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক পানি থাকায় দেহে পানির মাত্রা বাড়ায় যা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব জরুরি।
আফতাব চৌধুরী।