শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ট্রাম্প-উনের বৈঠক বাতিল

বিশ্বশান্তির জন্য অশুভ সংকেত

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার অধিপতি কিম জং উনের সঙ্গে তার প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল করেছেন। বিশ্বের এ মুহূর্তের সবচেয়ে জঙ্গিরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে বন্ধু দেশ চীনের পরামর্শে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সমঝোতায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতেও রাজি হন বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী শাসক। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র নিজে থেকে ধ্বংস করার ইতিবাচক সিদ্ধান্তও নেয় আজন্ম বাঁকা পথে চলা দেশটি। কিন্তু শীর্ষ বৈঠক সামনে রেখে মার্কিন নেতাদের হঠকারী বক্তব্য উত্তর কোরিয়ার আঁতে ঘা লাগে। তারা মার্কিন নেতাদের সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করে গায়ের ঝাল মেটায়। সে অজুহাতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প কিম জং উনের সঙ্গে যেভাবে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠেয় ১২ জুনের বৈঠক বাতিল করেছেন তা সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে অপ্রত্যাশিত। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করার কিছুক্ষণ পরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে তার প্রস্তাবিত শীর্ষ বৈঠকটি বাতিল করেন। এজন্য তিনি কিমকে একটি চিঠিও লিখেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দুই দেশের বৈঠক নিয়ে কিম জং উনের সাম্প্রতিক বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে জুনের ওই বৈঠক করবেন না। হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো চিঠিতে ট্রাম্প কিম জং উনকে বলেছেন, আপনার সঙ্গে মিলিত হতে আমি খুব উদ্গ্রীব ছিলাম। তবে দুঃখজনকভাবে আপনার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ ও প্রকাশ্য শত্রুতা প্রকাশিত হওয়ায় আমি মনে করছি, এই সময়ে দীর্ঘ পরিকল্পিত এ বৈঠক সঠিক হবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সুড়ঙ্গ ধ্বংসের ব্যাপারটি আসলে একটা কৌশল। কেননা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি যথেষ্ট এগিয়েছে এবং এখন আর পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কেউ কেউ আবার বলছেন, ২০১৭ সালেই ওই কেন্দ্রটিতে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সময় কিছু অংশ ধসে পড়ে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমরা মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বশান্তি তথা এশিয়ার এই অঞ্চলের জন্য অশুভ সংকেত। বিশ্বশান্তির জন্যও তা হুমকি। এ কাণ্ডজ্ঞানহীনতা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্যও সুখকর হবে কিনা ভেবে দেখা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর