রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব

তিস্তাসহ সব সমস্যার সমাধানও কাম্য

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশ্বের কাছে মডেল হিসেবে তুলে ধরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধনকালে দুই দেশের শীর্ষ নেতার পক্ষ থেকে এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বের কাছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘মডেল’ হিসেবে আবির্ভূত হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, পরস্পরের বিকাশে সহযোগিতা করছে তা অন্যদের জন্যও একটি শিক্ষা, একটি উদাহরণ। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে সোনালি অধ্যায় চলছে। দুই দেশের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা আছে যেগুলোর সমাধান অসম্ভব মনে হচ্ছিল কিন্তু যৌথভাবে সেই সমস্যাগুলোরও সমাধান হয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে কানেকটিভিটি কার্যত থমকে দাঁড়িয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে আমরা এ ইস্যুতে কাজ শুরু করেছি এবং দুই দেশের মধ্যে সড়ক, রেলসহ সব ক্ষেত্রে সংযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা হচ্ছে। জলপথেও যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে। ইন্টারনেটের প্রসারেও ভারত হাত বাড়িয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদু্যুৎ আদান-প্রদান বাড়ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আধা ঘণ্টার বৈঠকও হয়। এ বৈঠকে নিরাপত্তা ও সীমান্ত সন্ত্রাসসহ দুই দেশ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার ব্যাপারেও তারা একমত হন। এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার নাম উল্লেখ না করে যে বক্তব্য রাখেন তা তাৎপর্যপূর্ণ। বলেন, প্রতিবেশী দেশ থাকলে কিছু সমস্যাও থাকে। সমস্যাগুলো আমরা একে একে সমাধান করছি। যেগুলো বাকি আছে সে কথা বলে আমি এই চমৎকার অনুষ্ঠান নষ্ট করতে চাই না। আশা করব যে কোনো সমস্যা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমে সুরাহা করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।  দুই দেশের মানুষের কল্যাণে এ বন্ধুত্বকে এগিয়ে নেওয়া সবারই কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। বন্ধুত্বের স্বার্থেই তিস্তাসহ বিদ্যমান  সব সমস্যার সমাধানও সময়ের দাবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর