সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সবার জন্য ‘তাকওয়ার’ পোশাক চাই

মাওলানা ইয়াকুব কুতুবি

সবার জন্য ‘তাকওয়ার’ পোশাক চাই

আল্লাহতায়ালা বলেন : ‘হে বনী আদম! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি। যা তোমাদের সতর আবৃত করে। এবং তা সাজসজ্জার বস্ত্র। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক, সেটাই সর্বোত্তম’ (সূরা আরাফ-২৬)। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করে সে তাদেরই দলভুক্ত’ (মুসলিম)।

নবীজী আরও বলেন : ‘তোমরা তোমাদের কাজে-কর্মে মুশরিকদের বিরোধিতা কর’ (বোখারি)।

আবুদাউদ শরিফের এক হাদিসে বলা হয়েছে : ‘রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন পুরুষের ওপর অভিসম্পাৎ করেছেন, যে নারীর পোশাক পরিধান করে এবং এমন নারীর ওপরও অভিসম্পাৎ করেছেন, যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে।’ উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা আমরা কোরআন-হাদিসের আলোকে পোশাকের ছয়টি নীতিমালা জানতে পারি।

কোরআনের নীতিমালা : এক. সতর ঢাকার জন্য পোশাক নাজিল করেছেন। দুই. সৌন্দর্যের জন্য পোশাক নাজিল করেছেন। তিন. তাকওয়ার লেবাসই সর্বোত্তম। উল্লেখ্য, পুরুষের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। নারীর সতর, হাতের পাঞ্জা, পায়ের পাতা ও চেহারা ব্যতীত মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত দেহ। সাবধানতা : গাইরে মাহরামের সামনে নারীর চেহারাও সতর। তিন ধরনের পোশাক দ্বারা সতর ঢাকা হয় না। এক, খাটো পোশাক দুই, পাতলা পোশাক তিন. আঁটসাঁট পোশাক।

হাদিসের নীতিমালা : এক. পোশাকে ভিনজাতির সাদৃশ্যতার নিষিদ্ধতা। দুই. মুশরিকদের বিরোধিতা। তিন. নারী পুরুষের ও পুরুষ নারীর পোশাক ব্যবহারের নিষিদ্ধতা। আসুন আমরা ছয়টি নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখে ঈদে, তাকওয়ার পোশাক ক্রয় করি।

লেখক : ইমাম ও খতিব ইস্টার্ন বনবীথি অ্যাপার্টমেন্ট জামে

মসজিদ, দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর