সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুদকের অভিযান

মাদক ব্যবসার হোতারা শাস্তি পাক

মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। চারশ মাদক ব্যবসায়ীর একটি তালিকাও তৈরি করেছেন তারা। উল্লেখ্য, দুদক আইন অনুযায়ী দুর্নীতি, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে যে কোনো নাগরিকের আবাসিক ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আস্তানা তল্লাশি করতে পারেন দুদকের কর্মকর্তারা। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অবৈধ যে কোনো বস্তু এবং সম্পদ জব্দ করতে পারেন তারা। আদালতের অনুমতি নিয়ে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তও করতে পারেন অবৈধ সম্পদ। অনুসন্ধানকালে গ্রেফতার করতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। এ ক্ষমতা হাতে নিয়েই মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পদের খোঁজে মাঠে নেমেছেন দুদকের শতাধিক কর্মকর্তা। চার শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর জন্য খোলা হয়েছে শতাধিক ফাইল। ফাইল অনুযায়ী অভিযোগ অনুসন্ধানে ঢাকায় ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়গুলোতে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। দেশের আট বিভাগের চার শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর নামের তালিকা রয়েছে কমিশনের হাতে। মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। এসব অপরাধীর অনেকেই জনসমক্ষে ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত। বৈধ কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও তারা কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। বিপুল পরিমাণ জমি-জমা ও ফ্ল্যাটের মালিক তারা বনে গেছেন, যা একমাত্র আরব্য উপন্যাসের আলাদিনের চেরাগের বদৌলতেই সম্ভব। এদের মধ্যে সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরাও আছেন। তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়ে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে সাপ। দৃশ্যত সামাজিক ক্ষেত্রে সজ্জন হিসেবে পরিচিত হলেও তারা পর্দার আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িত। দুদক কর্মকর্তারা এসব লোকের কাছে জানতে চাইবেন বৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকা সত্ত্বেও তারা কীভাবে জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপনের সক্ষমতা দেখাচ্ছেন। তাদের অর্জিত সম্পদের উৎস কী— সে বিষয়টিও জানতে চাওয়া হবে। অনুসন্ধানে যারা অবৈধ সম্পদের মালিক বলে বিবেচিত হবেন তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে। ইতিমধ্যে দুদক মাদক ব্যবসার এসব গডফাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তাদের সামাজিক বা রাজনৈতিক প্রভাবকে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।  আমরা আশা করব মাদক ব্যবসার মাধ্যমে যারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তাদের আইনের আওতায় আনতে দুদক  তাদের সাধ্যের সব কিছুই করবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর