পৃথিবীর দুর্গম, শুষ্ক, নির্জন ও শীতল মহাদেশ এন্টার্কটিকা। মহাদেশটিকে নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই রাশান বিজ্ঞানীরা গবেষণার উদ্দেশ্যে মহাদেশটিতে গড়ে তুলেছেন ‘ভসটক গবেষণা কেন্দ্র’। তারা উনবিংশ শতাব্দীর শেষে এই গবেষণা কেন্দ্রের ঠিক নিচ বরাবর প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার পুরু বরফের তলদেশে আবিষ্কার করেন এক বিশালাকার মিঠাপানির হ্রদ। এই প্রভৃতি প্রাণীর সন্ধান মিলেছে। ভসটক গবেষণা কেন্দ্রের নামানুসারে হ্রদটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ভসটক হদ’। হ্রদটি এন্টার্কটিকা মহাদেশের সবচেয়ে। বড় হ্রদ হিসেবে পরিচিত। আয়তন প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার, প্রস্থে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং গভীরতা গড়ে প্রায় ৪৩০ মিটার। তবে হ্রদের কোথাও কোথাও প্রায় ৮০০ মিটার গভীর। চারদিক বরফে ঢাকা। থাকলেও হ্রদে পানি জমে না এবং প্রাণী পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, প্রায় ১৫ মিলিয়ন বছর আগে হ্রদটি বরফে ঢাকা ছিল। স্থানটিতে আদিম কোনো জীবের অস্তিত্ব আছে কিনা তা জানার জন্য আজও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।