শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

পাফার ফিশ

পাফার ফিশ

বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে মাছ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ প্রয়োজনীয় আমিষের বেশিরভাগই আসে মাছ থেকে। কিন্তু সব মাছ খাবার উপযুক্ত নয়। কোনো কোনো মাছ বিষাক্ত। এমনই এক ধরনের মাছ ‘পাফার ফিশ’। মাছগুলো বাংলাদেশে পটকা মাছ নামে পরিচিত। পৃথিবীতে বিভিন্ন আকার-আকৃতির শতাধিক প্রজাতির পাফার ফিশ রয়েছে। এরা লোনাপানি থেকে শুরু করে মিঠাপানি কিংবা তোহনায় বিচরণ করে।  এদের অধিকাংশ প্রজাতি ভয়ঙ্কর বিষাক্ত। যখন এরা দেহ ফোলায় তখন ত্বক, অন্ত্র ও ডিম্বাশয় থেকে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান নিঃসৃত হয়, যাকে বলা হয় টেট্রাডক্সিন। এটি নিউরোটক্সিন প্রকৃতির এক ধরনের বিষ, যা ভয়ঙ্কর বিষাক্ত সায়ানাইডের চেয়েও ১২০০ গুণ শক্তিশালী। দুর্ভাগ্যবশত কেউ এই বিষে আক্রান্ত হলে জিহ্বা ও ঠোঁট নিস্তেজ হয়ে পড়ে, অতিমাত্রায় বমি হয়, হৃদক্রিয়া ও শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয় এবং পেশি অবশ হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে মারা যায়। প্রায় ৩০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য একটি মাছই যথেষ্ট। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জাপানে ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে প্রতিবছর এই মাছ দ্বারা ২০-৪৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের বেশি মারা গেছেন। এরপরও জাপান, কোরিয়া ও চীনে পাফার ফিশ সুস্বাদু খাবার হিসেবে জনপ্রিয়।  এ জন্য এই মাছের রেসিপি তৈরির জন্য রাঁধুনীকে যথাযথ প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর