বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

জেলা প্রশাসক সম্মেলন

জনসেবায় অবদান রাখতে হবে

সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও জনসেবায় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ও পক্ষপাতহীন ভূমিকার বিকল্প নেই। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে তাগিদই দিয়েছেন। জেলা পর্যায়ে সরকারের চোখ ও কান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তি ও সন্ত্রাস নির্মূলে বিনা দ্বিধায় কাজ করুন। কে কোন দল, কে কার আত্মীয় তা দেখবেন না। কেউ বাধা দিলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সমাজ থেকে মাদক-সন্ত্রাস নির্মূলের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী ভাষণে উল্লেখ করেন, জনগণের কল্যাণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম জেলা প্রশাসকরাই মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করেন। সরকার যে পরিকল্পনা করে, তার বাস্তবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের। ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও স্কুলে মিড ডে মিল চালুর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সব ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের বলেন, আপনারা জনগণের সেবক। জনগণের পয়সায় আপনাদের বেতন হয়। তাদের জন্য কাজ করবেন। সেবার মনোভাব নিয়ে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবেই দেশ এগিয়ে যাবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। অপরাধীরা অপরাধ করে ছাড় পাওয়ার জন্য প্রায়শই ক্ষমতাবানদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বা আত্মীয়তার দোহাই দেয়। সরকারি দলের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কেরও দোহাই পাড়ে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা যারা কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতি তাদের দায়বোধ থাকা উচিত নয়। তাদের দায়বোধ দেশবাসীর প্রতি। ফলে মাদক-সন্ত্রাস ইত্যাদি অপরাধে কেউ যাতে দল বা আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে পার না পায় সেদিকে জেলা প্রশাসকদের নজর দিতে হবে। জেলা পর্যায়ের সব সমস্যা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সময়মতো জানাতে তাদের দায়বদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষত সরকারের সেবামূলক খাতগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা দেখার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সময়োচিত দায়িত্ব পালন করলে জেলাবাসীর কাছে তাদের মর্যাদা যেমন বাড়বে তেমন জনগণের সেবায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে।

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও তা অবদান রাখবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর