বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

মশা নিধনের উদ্যোগ নিন

চলতি বছর বর্ষা মৌসুম আগে ভাগে শুরু হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবও শুরু হয়েছে অন্য বছরের তুলনায় আগেই। ইতিমধ্যে ডেঙ্গু প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুও ঘটেছে। যাদের সবাই আগে একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অনুসন্ধানে যে তথ্য মিলেছে তা হলো ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর সঠিক সময়ে চিকিৎসকের কাছে বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাননি অধিকাংশ রোগী। ব্যথানাশক ওষুধও সেবন করেছেন অনেকে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক শকে আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে নোয়াখালীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসক মারা গেছেন। এর আগেও তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৫০৮ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৫৮ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। মঙ্গলবারও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৪০ জন। এডিস মশার কারণে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয় মানুষ। এই দুই জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। এ কারণে তা থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণু বহন করে। এ মশা রাতে কামড়ায় না। দিনে কামড় থেকে রক্ষা পেতে ঘরে মশা নিধনকারী ওষুধ স্প্রে করা যেতে পারে। দিনের বেলায় যারা ঘুমান তারা মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেই নিরাপদে থাকা যাবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে অযৌক্তিক ভীতিতে আতঙ্কিত না হয়ে জ্বর যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে চেষ্টা করতে হবে। পরিমিত পানি পানে উদ্যোগী হতে হবে। গুরুতর অসুস্থ বোধ হলে হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হবে। এডিস মশা বন-জঙ্গলে নয় মানুষের বাসগৃহেই আস্তানা গাড়ে। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক হলে এ মশার আগ্রাসন একেবারে থামিয়ে দেওয়াও সম্ভব। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জ্বর থেকে রেহাই পেতে হলে এডিস মশার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে। আঘাত হানতে হবে এডিসের আস্তানায়। এ মশার প্রজনন থামিয়ে দিতে হবে। সেদিকেই সবাই নজর দেবেন এমনটিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর