সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সড়ক শৃঙ্খলা

দুর্ঘটনা রোধে সবার সুমতি কাম্য

সড়ক শৃঙ্খলা যেন কল্পরাজ্যের সোনার পাথর বাটিতে পরিণত হয়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দেশ কাঁপানো আন্দোলনের পরও বাস চালকদের কোনো সুমতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে সড়ক সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রেই। রাস্তা পারাপারে এ দেশে যেন কোনো নিয়ম মানারই দরকার হয় না। ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপারের জীবননাশা প্রবণতা এড়ানোর কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বাস চালকদের পাল্লাপাল্লির বদভ্যাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সপ্তাহখানিক নিয়ন্ত্রিত থাকলেও আবার শুরু হযেছে সে প্রবণতা। সড়ক শৃঙ্খলার অভাবে প্রতিদিনই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই প্রায় ডজনখানেক পরিবারে উঠছে কান্নার রোল। প্রাণহানির পাশাপাশি আহত হচ্ছে প্রতিদিনই দুই ডজনেরও বেশি মানুষ। যাদের একাংশকে বাদবাকি জীবনে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। গত শনিবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর গেটের কাছে বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন ৭১ টেলিভিশনের এক বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা। বাসটি পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলের ওপর চড়াও হয়। তার আগে বাসটি একটি সিএনজি অটোরিকশাকেও ধাক্কা দেয়। একই দিন রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। যানজটের নগরী ঢাকায় গাড়ির চাকা এমনিতেই স্বাভাবিকহারে চলার সুযোগ পায় না। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে কম। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা পেলেই বাস-ট্রাক চালকদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যা হতাহতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষের অমূল্য জীবনের এই করুণ ও মর্মান্তিক পরিণতি রোধে সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতে হবে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের এটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। পাশাপাশি যাত্রী, পথচারী সবারই উচিত সড়ক শৃঙ্খলা মেনে চলা। সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে সচেতন হয়ে উঠলে সড়ক দুর্ঘটনায় লাগাম পরানো সহজতর হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সুবুদ্ধি ও সুমতি কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর