বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংলাপের সুবাতাস

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ রচিত হোক

বিরোধীদলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে রাজি হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে সরকারি দলের সম্মতিকে দেশের রাজনীতির জন্য সুবাতাস হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুকে ফোন করে সংলাপের প্রস্তাবে তাদের সম্মতির কথা জানিয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, অচিরেই গণভবনে এ সংলাপ শুরু হবে। সরকারি দলের এ সম্মতিকে ইতিমধ্যে স্বাগত জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। আওয়ামী লীগের আকস্মিক ঘোষণায় সংলাপে রাজি হওয়ার কথা জানানোর পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা বৈঠকে বসে তাদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে হাজারো মতবিরোধ থাকলেও দেশে সংসদীয় ধারা অব্যাহত রাখা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে দৃশ্যত কোনো দ্বিমত নেই। আশা করা হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে এ ব্যাপারে যে আস্থার সংকট রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে সংলাপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আশা করা হচ্ছে। সরকারি দল ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে রাজি হয়েছে কোনো শর্ত ছাড়াই। সংবিধানের আওতায় কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে সেটিই আলোচনার মূল বিষয় হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় সরকারি দল। ঐক্যফ্রন্ট তাদের সাত দফা দাবি পূরণসহ সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর দেবে। কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা যাবে সে বিষয়ে সংলাপে তারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। আশা করা হচ্ছে উভয় পক্ষের সংলাপ নির্বাচন নিয়ে যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি দলের নেতৃত্ব দেবেন। স্মর্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি সংলাপে বসার জন্য সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানালেও তাতে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে সরকারি দলের সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আওয়ামী লীগ এ অনড় ভূমিকা গ্রহণ করে। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ড. কামালের চিঠি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী সংলাপের বিষয়ে ত্বরিত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখান। আমাদের বিশ্বাস, দুই পক্ষের সংলাপ দেশের রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় নিতে অবদান রাখবে। গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের পথ রচনায় তা অবদান রাখবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর