রাজধানীর গাবতলী থেকে পাটুরিয়া পর্যন্ত ৩২ কিলোমিটার সড়কটি আট লেনে রূপান্তরের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং একে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতে সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ যানবাহন চলায় যানজট এ সড়ক ব্যবহারকারীদের নিয়তির লিখনে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সড়কটি আট লেনে উন্নীত করে এক্সপ্রেসওয়ে করার পরিকল্পনা নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে গত জুলাইয়ে নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে সরকারের ক্রয়-সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি। আট লেনের এ মহাসড়ক প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের ভিত্তিতে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঝের ছয় লেনে হবে এক্সপ্রেসওয়ে। দুই পাশে থাকবে একটি করে সার্ভিস লেন। টোল আদায়ের মাধ্যমে নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে হলে এ অংশটিতে যান চলা নির্বিঘ্ন হবে। বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে এন্ট্রি পয়েন্ট। ফলে এসব পয়েন্ট দিয়ে যানবাহনগুলো সহজেই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বের হয়ে যেতে পারবে। গাবতলী, হেমায়েতপুর, সাভার ও নবীনগরের ইন্টারচেঞ্জগুলোয় নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার। বিভিন্ন পয়েন্টে পথচারী সেতু ও পারাপারের জন্য নির্মাণ করা হবে ছয়টি আন্ডারপাস। ধীরগতির যানবাহনসহ যেসব বাহনের এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না সেগুলো চলাচল করবে দুই পাশের সার্ভিস লেনে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে গাবতলী থেকে নবীনগর পর্যন্ত। যানজটের কারণে এ দূরত্ব অতিক্রম করতে ১ ঘণ্টার বেশি লাগে। সড়কটি আট লেনে পরিণত হলে যানজট প্রায় শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর সড়কপথের যোগাযোগ সহজতর হবে। সড়কটির কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহের শিল্পায়নে গতি সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে।