রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তরুণদের মুখোমুখি প্রধানমন্ত্রী

ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়

বাংলাদেশকে বলা হয় বিশ্বের সম্ভাবনাময় দেশগুলোর একটি। দেশের জনসংখ্যার এক বড় অংশই তরুণ। এ জনগোষ্ঠীর উৎপাদনসক্ষমতা বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচনায় ভূমিকা রাখছে। আমাদের তরুণদের এক বিরাট অংশ বিদেশে বিভিন্ন পেশায় কাজ করে দেশে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছে তা অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তরুণদের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে মহাজোট সরকার। গত ১০ বছর বাংলাদেশে যে নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগ কৃতিত্ব তরুণদেরই প্রাপ্য। তাদের মতামতকে সরকার কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা স্পষ্ট হয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের লেটসটক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের ঘটনায়। ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবে তারা এমন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয় ওই অনুষ্ঠানে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যেমন তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন, তেমন তাদের কথাও শোনেন। তরুণদেরও বেশকিছু প্রশ্ন করেন তিনি। একইসঙ্গে বর্তমান প্রজম্ম কে অনুপ্রেরণা দিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কৈশোর ও তারুণ্যে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারী তরুণদের সামনে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তাভাবনা নিয়েও কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া প্রধানমন্ত্রীর কৈশোর ও তারুণ্য কি অন্যদের থেকে আলাদা ছিল, কীরকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি দিয়েছেন সাবলীলভাবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে তরুণদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনা, চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী। তরুণদের মুখোমুখি হওয়া বিশেষত দেশ সম্পর্কে নিজের চিন্তাভাবনা তাদের জানানো এবং তরুণদের আশা-আশঙ্কা ও চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অবহিত হওয়া নিঃসন্দেহে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এর ফলে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষে নতুন প্রজম্ম কে জানার সুযোগ যেমন হয়েছে তেমন তরুণরাও মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের স্বাধিকার-সংগ্রাম সম্পর্কে তাদের উপলব্ধিকে শানিত করার সুযোগ পেয়েছে; যা একটি ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে মূল্যায়নের দাবি রাখে।

সর্বশেষ খবর