শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থী

নির্বাচনে সব পক্ষের অংশগ্রহণ আশাজাগানিয়া

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক অর্থাৎ ৩ হাজার ৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেখানে অর্ধেকের বেশি আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে চলতি বছর প্রতিটি আসনে গড়ে ১০ জনের বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির পক্ষ থেকেই এ বছর ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৮০০ প্রার্থী। প্রতি আসনে বিএনপির প্রার্থী গড়ে আড়াইজনের বেশি। বুধবার ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর বাছাই হবে মনোনয়নপত্র। ৯ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। প্রথমবারের মতো এবার সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৩টি। সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ঢাকা-৮ আসনে ২২ এবং সর্বনিম্ন মাগুরা-২ আসনে ২টি। বিভাগওয়ারি রংপুরে ৩৬১, রাজশাহীতে ৩৫৩, খুলনায় ৩৫১, বরিশালে ১৮২, ময়মনসিংহে ২৩৬, ঢাকায় ৭০৮, সিলেটে ১৭৭ ও চট্টগ্রামে ৬৮৮টি। ২০১৪ সালে প্রধান বিরোধী জোট বর্জনের পথে যাওয়ায় নির্বাচনী উৎসব জমে ওঠেনি। এ বছর সারা দেশেই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উৎসবী মেজাজে। নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহের ঘাটতি ছিল না। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিলেও দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় বেশকিছু হেভিওয়েট প্রার্থীর পক্ষে ভোটযুদ্ধে থাকা সম্ভব হবে না। বিএনপি-জামায়াত জোটের দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করার ভুল সিদ্ধান্ত দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য বিসংবাদ ডেকে আনে। বর্জনকারীদের জন্যও তা সুখকর হয়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ আশাজাগানিয়া ঘটনা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তা অবদান রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশা করব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনমনে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে তা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনে গণরায়ের প্রতিফলন ঘটবে এমনটিও কাক্সিক্ষত। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দল ও মনোনয়নপত্র জমাদানকারীদের জন্য আমাদের শুভ কামনা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর