শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি

আরও সাফল্যের জন্য উদ্যোগী হতে হবে

গত পাঁচ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.২৬ শতাংশ। বিশ্বের যেসব দেশে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কম বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। বিশেষ করে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এ দেশের মানুষের মধ্যে অনীহার বিষয়টি স্পষ্ট। বর্তমানে দেশে তালিকাভুক্ত করদাতার সংখ্যা ৩৮ লাখের বেশি। তবে কর দিতে সক্ষম এমন নাগরিকের সংখ্যা এর প্রায় তিন গুণ বলে ধারণা করা হয়। গত পাঁচ বছর এনবিআর যে রাজস্ব আদায় করেছে তার মধ্যে ৩৫.১৭ শতাংশ আয়কর ও অন্যান্য খাত, ৩৬.০৭ শতাংশ স্থানীয় পর্যায়ে মূসক এবং ২৮.৭৬ শতাংশ শুল্ক থেকে অর্জিত হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি-রপ্তানি, রিটার্নে মিথ্যা তথ্য দেওয়া বন্ধে এনবিআর নজরদারি বাড়ানোর কারণে রাজস্ব খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জনে প্রযুক্তিনির্ভর রাজস্ব আদায় ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এনবিআর গত পাঁচ বছরে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে ইতিবাচক সাফল্য দেখালেও আলোর নিচে রয়েছে অন্ধকার। গত পাঁচ বছরে রাজস্ব আদায় বাড়লেও বড় অঙ্কের ঘাটতি থাকায় প্রতি বছরই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করতে হয়েছে। নতুন আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি নানা জটিলতার কারণে। প্রযুক্তিনির্ভর রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও রয়ে গেছে ঘাটতি। মিথ্যা তথ্য ব্যবহারের সুযোগ থাকায় বন্ধ হয়নি রাজস্ব ফাঁকি। দেশের রাজস্ব আয় কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিতে হলে করদাতার সংখ্যা যেমন বাড়াতে হবে তেমন শুল্ক ফাঁকির ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। করদাতাদের অযথা হয়রানির যে অপচর্চা কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশের মধ্যে রয়েছে তার অবসানও কাম্য। দেশের উন্নয়ন রাজস্বের ওপর নির্ভরশীল। রাজস্ব যত বাড়বে দেশের উন্নয়ন ততটাই নিশ্চিত হবে। এ বাস্তবতা মনে রেখে সবাই যাতে করদানে উদ্বুদ্ধ হয় তেমন পরিবেশই প্রত্যাশিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এনবিআরের কাজকর্মে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে সন্দেহ নেই। তবে এতে সন্তুষ্ট না থেকে আরও সাফল্যের জন্য উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর