মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

নির্বাচনী সহিংসতা

অপরাধীদের সামাল দিন

একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা জমে উঠেছে সব দলের অংশগ্রহণে এটি অবশ্যই আশাজাগানিয়া ঘটনা। তবে আলোর নিচে রয়েছে অন্ধকার। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সহিংসতার ঘটনা। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের প্রচারাভিযানে বাধা সৃষ্টি এমনকি হামলারও অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দেশের অন্তত নয়টি জেলায় সরকারদলীয় সমর্থকদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। আগের দিনও নির্বাচনী প্রচারণায় বিসংবাদ সৃষ্টি করেছে অতি উৎসাহী সমর্থকদের বাড়াবাড়ি। নির্বাচন কেন্দ্র করে অসহিষ্ণু কর্মী-সমর্থকদের পেশিশক্তি প্রদর্শনের অপচর্চা নির্বাচন কমিশনকেও বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। নির্বাচন কমিশন শান্তিপূণর্, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারবদ্ধ। গণতন্ত্রচর্চা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিকল্প নেই। কিন্তু রাজনীতিতে পেশিশক্তির উত্থান নির্বাচনের সৌন্দর্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আমরা এ কলামে বার বার বলেছি, নির্বাচন হলো দেশবাসীর মতপ্রকাশের উৎসব। ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাকে বেছে নেবেন তা ব্যালটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে। এজন্য দরকার সুষ্ঠ পরিবেশ। নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। নির্বাচনী সহিংসতার যে কোনো ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে যাতে গণরায়ের প্রতিফলন ঘটে তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকেও হতে হবে সক্রিয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে তৃতীয় কোনো পক্ষ হানাহানি উসকে দিতে পারে। সহিংসতার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে এ ধরনের আশঙ্কার ইতি ঘটাতে হবে। আমরা আশা করব অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিটি দল দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে। নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি দল কড়া নজর রাখবে এমনটিও প্রত্যাশিত। দেশে গণতন্ত্রচর্চা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রশ্ন জড়িত। উন্নয়নের ধারা টিকিয়ে রাখতেও এ ক্ষেত্রে সব পক্ষকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর