বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

একাদশ সংসদ নির্বাচন

সব পক্ষের দায়িত্বশীলতা কাম্য

আর মাত্র দুই দিন পর হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ করেছে। দেশের সব নির্বাচনী এলাকায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হয়েছে। যেসব নির্বাচনী এলাকায় ভোট নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে সেসব জায়গায়ও এ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির পাশাপাশি প্রার্থীরাও শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মনজয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও দেশের কোথাও কোথাও সংঘাতের ঘটনা জনমনে আশঙ্কা তৈরি করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-পাল্টা হামলার অভিযোগ নির্বাচনী পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করছে। নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন যথেচ্ছভাবে। টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাজধানীতে নগদ আট কোটি টাকা এবং ১০ কোটি টাকার চেকসহ গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে। এর আগেও নির্বাচনে টাকা ছিটানোর অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করলেও বৃহত্তম একটি জোটের প্রার্থীদের পোস্টার না লাগানোর ঘটনাও সৃষ্টি করেছে নানা প্রশ্ন। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক ও অনভিপ্রেত বাকবিতণ্ডা শেষে তাদের ওয়াকআউট জনমনের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে। এ দেশের মানুষ যে কোনো নির্বাচনে উৎসবী মেজাজে অংশ নেয়। সব দলের অংশগ্রহণে কাক্সিক্ষত সেই উৎসবী পরিবেশ সৃষ্টি হবে এমনটিও প্রত্যাশিত। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যের নানা ঘটনা জনমনে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-পাল্টা হামলার প্রবণতা এবং টাকা ছিটিয়ে ভোট কেনার প্রস্তুতি জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। আমরা আশা করব, গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে সব পক্ষ সক্রিয় হবে। এটি সবার কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর