রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ব্লু-ইকোনমির খোঁজে চীনের ওশান ইউনিভার্সিটিতে

শাইখ সিরাজ

ব্লু-ইকোনমির খোঁজে চীনের ওশান ইউনিভার্সিটিতে

কৃষি যন্ত্রপাতির মেলা বসেছিল চীনের চিংদাওয়ের হোয়ান্দাওয়ে। চীনে আসার আগেই যোগাযোগ করে নিয়েছিলাম চিংদাওয়ের ওশান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের কয়েকজনের সঙ্গে। চীনের বিপুল জনসংখ্যার পুষ্টি নিশ্চয়তার একটা বড় ক্ষেত্র সমুদ্র। পুষ্টির পাশাপাশি ব্লু-ইকোনমি চীনের শক্ত অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সমুদ্রের সম্পদ রহস্য উন্মোচনে আজ নানাভাবে অগ্রসর তারা। এ ক্ষেত্রে ওশান ইউনিভার্সিটি সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণার বিবেচনায় পৃথিবীর অন্যতম এক বিদ্যানিকেতন। চীনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ নিয়ে আমাদের তরুণরা সে জ্ঞান কীভাবে কাজে লাগাবে বলে ভাবছে সে সম্পর্কেও জানার আগ্রহ থেকেই ওশান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া। অক্টোবরের শেষ দিন, এখানে সবে শীতের শুরু। হোয়ান্দাও থেকে যাত্রা করলাম ওশান ইউনিভার্সিটির উদ্দেশে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই চলে এলাম ওশান বিশ^বিদ্যালয়ে। পথ দেখিয়ে নিয়ে এলেন চায়না ইউনিভার্সিটি অব পেট্রোলিয়ামের বাংলাদেশি ছাত্র মোহাম্মদ ফোরকান। আর এগিয়ে নিয়ে যেতে এলেন ওশান ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা। বাংলাদেশি মানেই অতিথিপরায়ণ। এখানেও এর ব্যত্যয় নেই। ওদের এখানে হোস্টেল জীবন। একরকম ব্যাচেলর জীবন। কিন্তু তাই বলে আতিথেয়তার কমতি নেই। কফির কাপে জমে উঠল আড্ডা। ওশান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সেন্টারের এ লবিটাই হয়ে উঠল একটুকরো বাংলাদেশ।

সময়স্বল্পতার কারণে আড্ডা থামিয়ে নামতে হলো কাজে। প্রথমেই গেলাম মেরিন বেনথোস ল্যাবে। সেখানে প্রফেসর জোও হোংয়ের তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন দুই বাংলাদেশি ছাত্র- সাইফ ও করিম। মেরিন ইকোলজি নিয়েই তাদের পড়াশোনা। গবেষণা করছেন সামুদ্রিক নেমাটোডা নিয়ে। নেমাটোডা এক প্রকার অণুজীব। প্রফেসর জোও হোংয়ের কক্ষটিই যেন ছোটখাটো একটি গবেষণাগার। কথা হলো তার সঙ্গে। জানতে চেয়েছিলাম মেরিন নেমাটোডার গুরুত্ব সম্পর্কে। তিনি বললেন, ‘মেরিন নেমাডোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মূলত সমুদ্রের পরিবেশ নির্দেশক। ওদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই সমুদ্রের পরিবেশ সম্পর্কে তথ্য জানা যায়। সারা পৃথিবীই এখন এ বিষয়ে বেশ সজাগ। নেমাটোডা সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে বসবাস করে। সাগরের পরিবেশ প্রাণিকুলের জন্য কতটুকু অনুকূলে, সমুদ্রের কী পরিমাণ খাদ্যোপকরণ আছে, বায়োডাইভারসিটিসহ নানান বিষয়ে তথ্য জানতেও নেমাটোডা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চীনের ইয়েলো সি, সাউথ চায়না সিসহ সমুদ্রের উপকূলের পরিবেশ উন্নয়নে আমরা নেমাটোডার সাহায্য নিয়েছি। এ নিয়ে আমার সঙ্গে গবেষণা করছে বাংলাদেশের সাইফ আর করিম। ওরা বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে বঙ্গোপসাগারে এ নিয়ে কাজ করতে পারে।’ সমুদ্রদূষণ বিষয়ে বললেন, ‘মানুষ প্রতিনিয়তই সাগরের পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। আমাদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। আপনি হয়তো জানেন, ১০ বছর আগেও চীনের সমুদ্রোপকূলগুলো অতিমাত্রায় দূষিত হয়ে উঠেছিল। চীন সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে নানারকম প্রকল্প হাতে নিয়ে এ সমস্যা মোকাবিলা করছে।’ চীন সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে-  জানতে চেয়েছিলাম তার কাছে। তিনি জানালেন, ‘আমাদের নদীগুলো কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য বয়ে নিয়ে আসত সাগরে। চীনা সরকার খুব কঠোরভাবে কারখানার বর্জ্য যেন নদীতে না আসে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। মানুষজন যেন সমুদ্রকে দূষিত না করে সে বিষয়টিও দৃঢ়ভাবে মনিটরিং করেছে। ২০০৮ সালে চিংদাওয়ে অলিম্পিকের আসর বসে। সে সময় থেকে চিংদাও পাল্টে যায়। এ শহরটিকে সবুজ করা হয়।’ কথা হয় সাইফ ও করিমের সঙ্গেও। করিম জানান, দেশে ফিরে তিনি বঙ্গোপসাগরের ইকোলজি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। মেরিন ইকোলজি বিভাগ থেকে আমরা গেলাম ফিশারিজ বিভাগে। এ বিভাগে বাংলাদেশের সাদিয়া, পার্থ ও রুমি পড়ছেন ফিশ স্টক অ্যাসেসমেন্ট বিষয়ে। তারা আমাকে নিয়ে গেলেন প্রফেসর চুন লিওয়ের কাছে। কথা হয় তার সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘আমি কাজ করছি সমুদ্রে মাছের প্রজাতির সংখ্যা নিয়ে। সমুদ্রের কোন অঞ্চল থেকে মাছ ধরা যাবে, কোন অঞ্চল থেকে ধরা যাবে না তা নির্ধারণ, মাছের গ্রোথ, মর্টালিটি, ঘনত্ব প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণা করছি। মূল কথা মাছের স্টক অ্যাসেসমেন্ট নিয়েই আমার কাজ।’ তার কাছে জানতে চাই বর্তমানে চীনের সামুদ্রিক মাছের অবস্থা সম্পর্কে। তিনি জানান, ‘১৯৪৯ সালে যদি চীনের অর্থনীতির সূচনা ধরি তাহলে প্রথম ৪০ বছর ছিল বেশ কঠিন সময়। সে সময়টায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকেই বেশি ঝুঁকতে হয়েছিল। ফলে পরিবেশের ওপর বেশ নেতিবাচকভাবেই চাপ ফেলা হয়। সমুদ্রও এর বাইরে নয়। কিন্তু ক্রমেই আমরা বুঝতে পারি টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। ফলে চীনা সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা গবেষণায় যুক্ত হই।’

চীনের সমুদ্রগুলোর মাছের প্রজাতির পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম প্রফেসর চুন লিওয়ের কাছে। তিনি জানালেন, চীনে মাছের চাহিদা মেটাতে দুই ধরনের মাছের জোগান রয়েছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগৃহীত মাছ ও চাষের মাছ। সামুদ্রিক মাছের চাহিদা খুব বেশি। মাছের প্রজাতি ও বংশ রক্ষায় সরকার বেশ কঠোর আইন করেছে। আইন মানার ক্ষেত্রেও জনগণকে বাধ্য করেছে। চীনের সমুদ্রে মে, জুন, জুলাই, আগস্ট- এ চার মাস মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমাদের কেউই এ সময়টায় মাছ ধরে না। সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য অবশ্যই লাইসেন্স থাকতে হয়। বেশকিছু নিয়ম-কানুন মানার শর্তেই লাইসেন্স দেওয়া হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই সামুদ্রিক প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটছে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একদিকে আমরা যেমন সমুদ্রকে দূষিত করে ফেলছি, অন্যদিকে নির্বিচারে সামুদ্রিক মাছ ধরার কারণে শুধু মাছই নয়, অনেক সামুদ্রিক প্রাণী, প্লাঙ্কটন হারিয়ে যাচ্ছে। এর কারণে ইকোসিস্টেম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে সবার ওপরই। এ ক্ষেত্রে এফএও, ন্যাটো প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ বিষয়গুলো নিয়ে সোচ্চার হতে পারে। আর প্রতিটি দেশের সরকারেরও উচিত এ বিষয়গুলো আমলে নেওয়া।’ আমাদের দেশের কয়েকজন শিক্ষার্থী আপনার কাছ থেকে দীক্ষা নিচ্ছেন; তাদের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? প্রশ্ন ছিল আমার। তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমার তত্ত্বাবধানে পাঁচজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আছে। তারা বেশ মনোযোগী, ভালো করছে। এখানকার শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আপনাদের দেশেও গবেষণা চলতে পারে।’ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় রঙিন হয়ে আছে সেঞ্চুরি গাছের রঙিন পাতায়। শীতের শুরুতে প্রকৃতির এক অন্যরকম সৌন্দর্য। ক্যাম্পাসে হাঁটতে হাঁটতে কথা হলো বাংলাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থী রুমি, পার্থ ও সাদিয়ার সঙ্গে। রুমি জানালেন, চীনে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার জ্ঞানকে বঙ্গোপসাগরের বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় কাজে লাগাবেন। অতিরিক্ত মাছ যেন নিধন না হয় সে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করবেন এবং যে মাছগুলো ব্যবহার হয় না, সেগুলোকে ফিশ ফিড বা পোলট্রি ফিড হিসেবে কাজে লাগানোর বিষয়েও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন পার্থ। সাদিয়া জামান কাপ্তাই লেকের মাছের বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এই বিশ^বিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। কাপ্তাই লেকের মাছ বৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে চান তিনি। বাংলাদেশ থেকে আসা আর এক শিক্ষার্থী সাজেদ, পিএইচডি পড়ছেন লার্ভা নিউট্রিশন বিষয়ে। কথা হলো তার প্রফেসরের সঙ্গেও। প্রফেসর চিংহুই আই মূলত সামুদ্রিক মাছের খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে গবেষণা করছেন। তার কাজের প্রধান দুটি অংশ হচ্ছে- ১. মাছের লিপিড ও ফ্যাটি অ্যাসিড বিপাকক্রিয়া এবং বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজে এদের অবদান। ২. বিভিন্ন মাছের লার্ভির/পোনার খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে গবেষণা। মাছের পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার তৈরি।

তিনি বলেন, মাছের লার্ভির কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি জানেন, এই স্তরেই সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত না হলে মাছের বর্ধন ও স্বাস্থ্য ভালো হয় না। আর একটা বিষয় খুবই বাজে প্রভাব ফেলছে সামুদ্রিক মাছের লার্ভির ওপর, তা হচ্ছে বৈশি^ক তাপমাত্রা বৃদ্ধি। অতিমাত্রায় দূষণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি লার্ভির জন্য অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি করছে। তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে হলে লার্ভি টেকে না। ফলে অনেক মাছের জাত হারিয়ে যাচ্ছে। চীন এ বিষয়গুলোয় সচেতন হচ্ছে। অন্য দেশগুলোকেও সচেতন হতে হবে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই সমুদ্রের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে হবে। আমাদের দেশের মোট আয়তনের ৮১ শতাংশ বঙ্গোপসাগর। সমুদ্রসীমার আয়তন বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমাদের ব্লু-ইকোনমি নিয়ে নতুন সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ের আন্তর্জাতিক গবেষকরা আমাদের দেশের এই সম্ভাবনাকে অনেক বড় করে দেখেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সমুদ্রসম্পদের সঠিক জরিপ, গবেষণা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কাছাকাছি কি আমরা যেতে পেরেছি? গত মার্চে কক্সবাজারের বিভিন্ন ফিশ ল্যান্ডিং স্টেশনে ঘুরে দেখেছি আমাদের সামুদ্রিক মাছের প্রজাতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। এ বিষয়ে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটও তেমন সঠিক ও গবেষণালব্ধ তথ্য দিতে পারেনি। আমাদের দেশে সমুদ্রসম্পদের অনেক সম্ভাবনাময় একটি দিক উন্মোচন করতে পারে ‘সি উইড’ বা সমুদ্র শ্যাওলা। বছর দেড়েক আগে এ বিষয় নিয়ে ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলাম। চীনে সি উইড খুব জনপ্রিয়। সেখানকার অধিকাংশ সুপার শপ ও গ্রোসারিতে সি উইডের সমারোহ দেখা যায়। বাড়ির পাশের দোকানেও মিলছে নানান প্রজাতির সি উইড। আসা যাক বঙ্গোপসাগরের অভ্যন্তরীণ সম্পদের দিকে। কয়েক মাস আগে আমাদের সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ নিয়ে হৃদয়ে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানের একটি প্রতিবেদন নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন।

আমাদের নিজস্ব সমুদ্রসম্পদের সুরক্ষার প্রশ্নে আমরা যথেষ্ট উদাসীনতা দেখিয়ে আসছি। অন্যদিকে গোটা পৃথিবী এখন সোচ্চার সমুদ্রসম্পদের সুরক্ষা নিয়ে। কারণ সমুদ্র দিনে দিনে পরিণত হচ্ছে বর্জ্য আর প্লাস্টিকের খনিতে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ২০২৫ সালের মধ্যে চিত্রটি এমন ভয়াবহ অবস্থানে চলে যেতে পারে যে প্রতি ৩ টন সমুদ্র মাছের বিপরীতে সমুদ্রে ১ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া যাবে। দূষণের কারণে পৃথিবীর সমুদ্রসম্পদের অভ্যন্তরে থাকা ৭০০ প্রজাতির জলজ প্রাণী আক্রান্ত হয়েছে। মাছ আহরণের সঠিক নিয়ম মেনে না চলাসহ মনুষ্যসৃষ্ট নানা অনাচারের কারণে গোটা পৃথিবীতেই সমুদ্র আজ সংকটে। কোনো কোনো দেশ সমুদ্রের অভ্যন্তরীণ ও পারিপার্শ্বিক বৈচিত্র্য সুরক্ষার প্রশ্নে অত্যন্ত আন্তরিক। এ আন্তরিকতা দেখেছি নেদারল্যান্ডসে। সেখানে নর্থ সি সুরক্ষার প্রশ্নে তাদের নানা উদ্যোগ রয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সুরক্ষার প্রশ্নে বঙ্গোপসাগর অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাগরের সম্পদের হিসাব নিরূপণের পাশাপাশি সম্পদ সুরক্ষার ব্যাপারে আন্তরিক না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ হবে বিপন্ন। প্রত্যাশা করি, পৃথিবীর অন্যতম সমুদ্রবিজ্ঞানবিষয়ক বিদ্যায়তন চীনের ওশান ইউনিভার্সিটি থেকে গবেষণা করে আসা আমাদের শিক্ষার্থীরা বঙ্গোপসাগর সুরক্ষার জন্য এমন কিছু ব্যবস্থাপত্র হাজির করবেন, যার মাধ্যমে আমরা সুপরিকল্পিতভাবে সুরক্ষা করতে পারব বঙ্গোপসাগরের। বিশাল সমুদ্রসীমা আমাদের জন্য বয়ে আনবে বহুমুখী সৌভাগ্য।

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

[email protected]

সর্বশেষ খবর