শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

একটি সঠিক সিদ্ধান্ত

নির্বিঘ্ন হোক ব্যবসা-বাণিজ্য

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করতে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন ও খালাসের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মুখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বুধবার আমদানি-রপ্তানি পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এনবিআর বলেছে, দেশে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সব কাস্টম হাউস ও কাস্টম স্টেশনে স্বাভাবিক দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। ফলে এখন থেকে আমদানি করা যে কোনো পণ্য শুল্কায়ন করে খালাস নেওয়া যাবে। এনবিআরের আদেশে বলা হয়, এর আগে করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় সাধারণ ছুটির সময় শুধু নিত্যপণ্য এবং ওষুধ তৈরির কাঁচামাল

ও সামগ্রী শুল্কায়ন ও খালাস করা যাবে বলে রাজস্ব বোর্ড আদেশ জারি করেছিল। কিন্তু বন্দরে পণ্য জমে অচলাবস্থার দিকে যেতে থাকলে পৃথক দুটি আদেশে শিল্পের কাঁচামালসহ আরও বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই তিনটি আদেশে বাণিজ্যিক পণ্য শুল্কায়ন ও খালাসের সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রায় ২৭ দিন পর এখন বাণিজ্যিক পণ্য খালাসের সুযোগ দেওয়া হলো। আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পণ্যের শুল্কায়ন ও খালাসে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং কাস্টম হাউস ও কাস্টম স্টেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশনা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। করোনাভাইরাস-জনিত অচলাবস্থায় গত এক মাসে দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। এ অবস্থায় এখন থেকেই অর্থনীতি পুনর্গঠনে উদ্যোগী হতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য শুধু  নয়, উৎপাদনের সব খাত সচল করতে হবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতা অবলম্বন যেমন জরুরি, তেমন ১৭ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা টিকিয়ে রাখার বিষয়টিও প্রাসঙ্গিক। এ বিবেচনায় সরকারকে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিয়ে অচল অর্থনীতি সচল করার উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর