শনিবার, ৩০ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঁধভাঙা উপকূল

শাইখ সিরাজ

বাঁধভাঙা উপকূল

বাংলায় একটি বাগধারা প্রচলিত আছে, ‘গদাই লস্করি চাল’। নিশ্চয়ই শুনেছেন। না শুনলেও বাংলা ব্যাকরণ বইয়ে পড়েছেন নিশ্চয়ই। সাধারণত অলস, কাজ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যেই এই বাগধারার ব্যবহার। প্রাচীনকালে যুদ্ধে ব্যবহৃত এক ধরনের অস্ত্র হচ্ছে গদা। যে ব্যক্তি গদা বহন করে তাকে বলা হয় গদাই। অন্যান্য অস্ত্রের তুলনায় গদা ছিল ভারী।  লস্কর বা লশকর হচ্ছে সৈনিক। তো যে সৈনিকরা যুদ্ধের মাঠে গদা বহন করত তাদের বলা হতো গদাই লস্কর। গদা ভারী বলে গদাই লস্করদের চাল-চলনের গতি হতো ধীর। ফলে অন্য সৈন্যরা যখন যুদ্ধের ময়দানে অনেক দ্রুত চলাফেরা করতে পারত গদাই লস্কররা পারত না। এই ভারী অস্ত্র বহন করার অজুহাতে তাদের ভিতর কাজকর্মে বেশ ঢিলেমি ভাব চলে আসত। সেই থেকে এই বাগধারার প্রচলন। যারা বাস্তব জীবনে অলস, কাজকর্মে অনীহা, গতিকম। ঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে পারে না, তখন তাদের বলা হয় ‘যা শুরু করেছ বাপু! গদাই লস্করি চালে কাজ করলে চলবে? সব যে রসাতলে যাবে!’ আমাদের দেশে বাঁধ নির্মাণের কাজগুলোও মূলত গদাই লস্করি চালে হয়। দিনের পর দিন চলে যায় কিন্তু বাঁধ নির্মাণের কাজ আর শেষ হয় না। আমাদের দেশে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে থাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বছরের বিভিন্ন সময় বাঁধ নির্মাণে তাদের অনীহার খবর সংবাদ মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়। অভিযোগ থাকে নামমাত্র বাঁধ সংস্কার হয়, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে তারা কাজটা করে না। যে পয়েন্টে বাঁধ ভাঙে জোড়াতালি দিয়ে সেখানে তা সংস্কার হয়। তখন আবার অন্য অংশে ভাঙন দেখা দেয়। বছরের পর বছর চলে যায় তাদের এই কাজ আর শেষ হয় না। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরাসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫৯৭ কিলোমিটার বাঁধ পানির তোড়ে ভেসে যায়। উপকূলের মানুষের দাবি ছিল, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের। সরকারেরও আশ্বাস ছিল, বাঁধ হবে। প্রকল্পও চালু হয়। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়, কাজ শেষ হয় না। আইলার পর ১১ বছরেও তা নির্মিত হয়নি। উপরন্তু জোড়াতালি দিয়ে বাঁধ সংস্কারে অর্থের অপচয় ও প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী ও ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রেই বলি, আইলার পর ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প ফেজ-১’ এর আওতায় খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনায় ৬২৫ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্নির্মাণে বৃহৎ প্রকল্প নেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন প্রকল্প (২য় পর্যায়), ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট জেলার ৩৬/১ পোল্ডারে পুনর্বাসন প্রকল্প, ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনার দাকোপে ৩১ নং পোল্ডার এবং বটিয়াঘাটায় ৩০ ও ৩৪/২ পোল্ডারে বাঁধ পুনঃসংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা অঞ্চলে বাস্তবায়ন করা হয়েছে অবকাঠামো পুনর্বাসন (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) প্রকল্প, নদী তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প (৪র্থ পর্যায়), এফডিআর-২০০৭ (ওয়ামিপ) প্রকল্প। কিন্তু এতসব প্রকল্পের ফলাফলটা কী?

গত বছরের ৪ মে ঘূর্ণিঝড় ফণীতে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। গত বছর বাগেরহাটে কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেটে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকজন কৃষকের অভিযোগ ছিল বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছিলেন, নানা অনিয়মের কারণে বাঁধ সংস্কারের কিছু দিনের মধ্যে তা আগের চেহারায় ফিরে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল, নদী তীরে চরের মাটি কেটে বাঁধ উঁচু করা হয় ঠিকই। কিন্তু বাঁধের ঢাল না থাকায় বাঁধ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। নকশা না মেনেই অনেক স্থানে বাঁধের ঢালটা ১ থেকে দেড় ফুট কমিয়ে ফেলা হয়। মাটি বিক্রি নিয়ে আর্থিক অনিয়মে জড়িয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ঠিকাদারের লোকজন। যে ঠিকাদার কাজ পায়, তিনি কাজ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট কমিশনে কাজটি অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। ওই ঠিকাদার আবার তার কমিশন রেখে কাজটি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে অন্য ঠিকাদারদের হাতে দেন। এই হাত বদলের পর মাঠপর্যায়ে ৪০-৪৫ ভাগ বরাদ্দ পাওয়া যায়। ফলে বাঁধ নির্মাণ হলেও, সে বাঁধের কোনো বাধা দেওয়ার শক্তি থাকে না। এ বছরের বাঁধ পরের বছর আসতে না আসতেই বিলীন হয়ে যায়।

মনে আছে সৌদি আরবের তায়েফে প্রায় চৌদ্দশ বছর আগের একটা বাঁধ দেখে এসেছিলাম। তায়েফ একটি কৃষিসমৃদ্ধ ও ঐতিহাসিক অঞ্চল। তায়েফকে কৃষি উপযোগী করে তোলা হয়েছিল। আর তাই ছোট-বড় প্রায় ৭০টির মতো প্রাচীন ড্যাম বা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই ৭০টি বাঁধের মধ্যে ২০টির অস্তিত্ব এখনো আছে। এর মাঝে একটি ড্যাম যেটি মুয়াবিয়া ড্যাম নামে পরিচিত। তায়েফ থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ড্যামটি সায়েসাদ উপত্যকায় নির্মাণ হয়েছিল ৫৮ হিজরিতে। ওয়াদে আল খানাক নামে এক জায়গায় বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এই এলাকায় পূর্বে বন্যা হতো। বন্যার কারণে কৃষি জমি ভেসে যেত, সঙ্গে সঙ্গে ভেসে যেত বসতিও। উমাইয়া খলিফা মুয়াবিয়ার শাসনামলে বন্যার কারণ হিসেবে খুঁজে বের করা হলো, দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকা দিয়ে পানি এসে বন্যা হয়। তাই বন্যার হাত থেকে ফসল ও মানুষকে রক্ষা করতে এই উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়। হাজার বছরে ভূ-প্রকৃতি বদলেছে, বদলেছে আবহাওয়া। কিন্তু বাঁধটি এখনো আছে। বাঁধের গায়ে সেই সময়কার হাতের লেখাটাও রয়ে গেছে কালের সাক্ষী হয়ে। পৃথিবীতে ৩৩টি দেশের বিভিন্ন স্থান আছে যা সমুদ্রের জলতলের থেকে অনেক নিচুতে অবস্থান। বাঁধ নির্মাণ করে সেসব অঞ্চলে মানুষ নিরাপদ বসতি গড়েছে। এমন একটি দেশ নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের কৃষি, কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি অর্থনীতি ও বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ে জানতে বুঝতে নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন শহরে ও এলাকায় আমার যাওয়া হয়েছে। দেশটির স্থলভাগের উচ্চতা সমুদ্রের জলতলের থেকে অনেক নিচু। দেশটির প্রায় অর্ধেক অংশই সমুদ্রের জলতলের প্রায় সাত মিটার নিচে। তাই বাঁধ দিয়ে পুরো দেশটা ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে সে বাঁধ আমাদের দেশের মতো নয়, যে সামান্য জলোচ্ছ্বাসেই ভেঙে যাবে! নেদারল্যান্ডসের রাজধানী ও অন্যতম প্রধান শহর হচ্ছে আমস্টারডাম। এ নামটাই এসেছে Amstel Dam আমস্টল ড্যাম থেকে। অর্থাৎ ‘আমস্টেল নদীর বাঁধ’। 

আমাদের কেন বাঁধ নির্মাণে এত গড়িমসি। সমস্যাটা কোথায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়রাবাসীর হাঁটু পানিতে ঈদের নামাজ আদায়ের ছবিটা ভাইরাল হয়েছে। এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের কারণে এলাকাবাসীর যে কষ্ট বছরের পর বছর সহ্য করতে হচ্ছে সেটা কি আমরা অনুভব করতে পেরেছি? পারলে বাঁধ নির্মাণে কেন এত দীর্ঘসূত্রতা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লু-গোল্ড প্রোগ্রামের কথাই যদি বলি। তাদের ওয়েবসাইট থেকেই পাওয়া তথ্য। প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী এবং বরগুনার নির্বাচিত মোট ২২টি পোল্ডারে ব্লু-গোল্ড প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের কথা। মোট প্রকল্প এলাকা ১১৯,১২৪ হেক্টর। বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। কিন্তু ২০২০ সালে এসেও প্রকল্পের ২০-৩০% কাজ নাকি এখনো বাকি রয়ে গেছে। সাত বছরেও প্রকল্প শেষ হচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশের দীর্ঘতম বাঁধ কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করতে সাড়ে পাঁচ বছর লেগেছিল। মানছি বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাঁধ নির্মাণের কাজকে ব্যাহত করছে। এ ক্ষেত্রে আমার শৈশবের পাটীগণিতের কথা স্মরণ করতে পারি। ‘একটি কাজ ৫ জন লোকে শেষ করতে ১০ দিন সময় লাগে। কাজটি ১০ জন লোকে করলে কতদিন সময় লাগবে?’ শৈশবে এ জাতীয় অঙ্ক শিখেই আমরা বড় হয়েছি। বাঁধের কাজগুলোতে যেহেতু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকে, সেহেতু সেগুলো দ্রুত সময়ে শেষ করার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামা উচিত। শুধু উপকূলীয় অঞ্চলেই নয়, হাওর অঞ্চলেও বাঁধ নির্মাণ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। আমি বিভিন্ন হাওর এলাকায় ঘুরে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, পাহাড়ি ঢল আসার আগে আগে বাঁধ নির্মাণে কয়েক বস্তা মাটি ফেলা হয় বটে কিন্তু ঢলেই সে মাটি ধুয়ে চলে যায়। উন্নয়ন কাজ বছরের পর বছর চলতে থাকে ঠিকই উন্নয়ন আর হয় না।

আইলায় নদীর প্রবল ভাঙনে শাকবাড়িয়া, কপোতাক্ষ ও কয়রা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের বসতভিটা, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গাছপালা শূন্য কয়রা উপজেলার পরিবেশ এখনো সম্পূর্ণ ফিরে পায়নি তার আগের রূপ। যে কারণে শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। লবণাক্ততার কারণে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমিতে কৃষকরা আজো ঠিকমতো ফসল ফলাতে পারে না। আইলার ভয়াবহতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন। ওই এলাকায় পা দিলেই ১০ বছর আগে ঘটে যাওয়া আইলার চিহ্ন এখনো স্পষ্ট দেখা যায়, যা না দেখলে মানুষ অনুমান করতে পারবে  না-২৫ মে, ২০০৯ সালে সেখানে কী ঘটেছিল। এরপর কয়েক বছর পরপরই তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা নামের ঘূর্ণিঝড়ের। শেষ ছোবল হানে আম্ফান। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে যতটা না ক্ষতি হয়েছে, বাঁধ ভেঙে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় মানুষের। একটি ঝড়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আঘাত হানে আরেকটি ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস। এতে নষ্ট হয়ে যায় তিলে তিলে গড়া সম্পদ।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও অতিবৃষ্টিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে থাকে মানুষের বাড়িঘরে। স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে জেনেছি, এক সপ্তাহ পার হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) না পেয়ে অধিকাংশ এলাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে নেমে পড়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু নদীতে প্রবল জোয়ারের কারণে বাঁধ টেকানো যাচ্ছে না। এক পাশে বাঁধ নির্মাণ করে বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই আরেক পাশের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বছরের পর বছর উপকূলীয়, নদী তীরবর্তী ও হাওরাঞ্চলের মানুষের সীমাহীন কষ্ট দেখে আসছি। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষগুলো ক্লান্ত। অথচ সরকার নানা প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু পেরে উঠছে না। সমস্যাটা কোন জায়গায় সেটা চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গলদটা পরিকল্পনায়, না বাস্তবায়নে সেটা যেমন খুঁজে বের করতে হবে তেমনি ভাবতে হবে নতুন করে। বলছিলাম, নেদারল্যান্ডসের কথা। বাঁধ নির্মাণ করে একটি দেশ টিকিয়ে রেখেছে তাদের সভ্যতাকে, নির্মাণ করেছে কৃষি অর্থনীতির নতুন ধারা, ফুলের জগৎ বলতেই আমরা বুঝি নেদারল্যান্ডস। পাশাপাশি সমুদ্রের জলতলকে সমান রাখার জন্য আরও একটি উপায় অবলম্বন করেছে নেদারল্যান্ডস। দেশজুড়ে প্রচুর খাল কাটা আছে। নদীর মাধ্যমে সমুদ্রের সঙ্গে এই খালগুলোর যোগাযোগ আছে। এভাবে ভৌগোলিক সমস্যাকে তারা যেমন অতিক্রম করেছে, তেমনি খালগুলোকে জলপথ হিসেবে ব্যবহার করতে পারছে।  এতে জলপথে সমগ্র দেশেই ভ্রমণের,  পণ্য পরিবহন করা যায়।

বছরের পর বছর বাঁধ সংস্কারের নামে জলে টাকা না ফেলে সত্যিকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে উপকূলের এই মানুষগুলোর জীবন  ও সম্পদ রক্ষা করা জরুরি।

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।  

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর