বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

নাটোরের বনলতা সেন, কিছু স্মৃতি-বিস্মৃতি

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

নাটোরের বনলতা সেন, কিছু স্মৃতি-বিস্মৃতি

এবারের ঈদুল আজহায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের পাশাপাশি বন্যা দেশের উত্তরাঞ্চলে এক দুঃসহ মাত্রা নিয়ে এসেছিল। স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ সব ধরনের ঝুঁকি মাথায় রেখেই আমার দুই কন্যা ও স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে ঈদের দুই দিন আগে আমি নাটোরে যাই। দলের নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী সবাইকে অনুরোধ করে বলি, এ দুঃসময়ে আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়েই অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দল এক যুগের বেশি ক্ষমতায় নেই। তা ছাড়া সীমাহীন জুলুম-নির্যাতন তো আছেই। এত কিছু পরও সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদের উপহারসামগ্রী হিসেবে কিছু এলাকায় অতি সংগোপনে ত্রাণ তৎপরতা চলে। ঈদের ঠিক আগের দিন যথারীতি আমি স্থানীয় প্রশাসনকে আমার নাটোরে অবস্থানের কথা অবগত করি। করোনা-বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি নেই। বিষয়টিও প্রশাসনকে আশস্ত করি। কোথায় ঈদের নামাজ আদায় করব, তাও জানাই।

ঈদের দিন সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০ জন করে নেতা-কর্মী শুভানুধ্যায়ীর সঙ্গে আমার নাটোরের আলাইপুরের বাড়িতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় চলছিল। হঠাৎই জানতে পারলাম, সাদা পোশাকের পুলিশ আমার বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। পরে আমি নিজে গিয়ে কর্তব্যরত অফিসারদের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলাম। এরপর তাঁরা বাড়ি ঘেরাও অবস্থান তুলে নেন। তবে পুরো শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়, ভয়ে যেন আমার সঙ্গে কেউ দেখা করতে না আসেন। ক্ষমতাসীনদের ধারণা একটাই- আমি যদি নাটোরে যাই, আমাকে দেখে যদি মানুষের শান্তিময় সোনালি দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। খুন, রক্তপাত, অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যদি মানুষ বিদ্রোহে ফুঁসে ওঠে। এ অজানা আশঙ্কা থেকেও আমার প্রিয় জন্মভূমি নাটোরে আমার যাওয়া-আসার বিরুদ্ধে এত আয়োজন। জীবনে একটি ঈদ নাটোরে করিনি। শুধু রাজনৈতিক কারণে কারান্তরিন থাকার সময় বাদে সব ঈদ নাটোরবাসীর সঙ্গে উদ্যাপন করেছি।

ঈদের দিন শহরের প্রধান প্রধান প্রবেশমুখ বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সীমাহীন হয়রানি করা হয়। কিন্তু আমার প্রশ্ন- সাধারণ মানুষের কী দোষ। তারা কেন এত হয়রানির শিকার হবেন। সব দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এই নাটোরবাসীকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। কবি জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন কবিতায় যথার্থই লিখেছিলেন, ‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন, আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।’ এ কবিতার ওপর শান্তির আবেগ জড়ানো উত্তরের ‘রাজধানী’ খ্যাত নাটোরেই আমার জন্ম। শৈশব কেটেছে নাটোরের ধুলো-মাটি মেখে। কৈশোর-তারুণ্যের দুরন্তপনায়, আম কুড়ানো, প্রথম বর্ষার জলে ডুবে সাঁতার- সব দুরন্তপনা প্রাণের শহর নাটোরকেন্দ্রিক। তারুণ্যে এসে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কথা শুনে উজ্জীবিত হতাম। আশির দশকে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠি। কলেজ থেকে জেলা ছাত্রদলের নেতা হয়ে গেলাম টেরই পেলাম না। সব বন্ধুর অকুণ্ঠ সমর্থন আর বড়দের স্নেহের কথা স্মরণ হলে কৃতজ্ঞতায় কেমন যেন অনুভবে অন্য রকম হয়ে যাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরিধি বাড়তে থাকল। মাথায় ঝাঁকড়া চুলের মতো সহকর্মী সহযোদ্ধা শুভানুধ্যায়ী থেকে বন্ধুতে রূপান্তরের সংখ্যাও বাড়তে থাকল। একসময় আমার আদর্শিক প্রিয় সংগঠন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নজরে এলাম। নিজের কর্মগুণে নজরে এলাম দলের চেয়ারপারসন আপসহীন নেত্রী বেগম খলেদা জিয়ার। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পর্যায়ক্রমে সভাপতি হলাম। কিন্তু আমি কখনো নাটোর ছেড়ে যেতে চাইনি। নাটোর তাদের ভালোবাসার সন্তান, ভাই আপনজন দুলুকে চিনতে ভুল করেনি। তাদের ভালোবাসায় অকুণ্ঠ সমর্থনে ১৯৯৬ সালে পর পর দুবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। নাটোরকে স্বপ্নের সুন্দর আধুনিক নাটোর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছুটে বেড়াতে থাকলাম। তারুণ্যে স্বপ্নজাল আমাকে দল-মত সব ভুলিয়ে দিয়েছিল। এ স্বপ্নে প্রথম আঘাত এলো ১৯৯৮ সালে। আমার ফুফাতো ভাই নাটোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন মুকুলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। নাটোরের মাটি রাজনৈতিক কারণে রক্তে রঞ্জিত হলো। শোক, হতাশা আর বেদনায় পরিবারের বিভিন্নজনের কথা ও ভর্ৎসনায় রীতিমতো ভেঙে পড়লাম। স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবিনি, আমার প্রিয় শহর নাটোর রক্তাক্ত হবে। তা-ই হলো। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার আত্মজীবনী পড়তে শুরু করলাম।

ইতিহাস বুঝতে শুরু করলাম, রাজনীতির কণ্টকাকীর্ণ পথে আমাকে রক্তাক্ত হতেই হবে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে নাটোরের গণমানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসায় আপ্লুত হলাম। নাটোরবাসীর ভালোবাসা সম্মানে অভিষিক্ত হয়ে আমি টানা তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম। দেশনেত্রী বেগম খারেদা জিয়া নাটোরবাসীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে গিয়ে তাঁর মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে কম বয়সী মন্ত্রী হিসেবে আমাকে অন্তর্র্ভুক্ত করে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেন। মন্ত্রী হয়ে সালাম করতে গেলাম। দেশনেত্রী বললেন, ‘যাও, নাটোরের উন্নয়ন করে নাটোরের মানুষকে ভালোবেসে মুকুলের (জাহিদ হোসেন মুকুল) রক্তঋণ শোধ কর।’ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হলো। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীও করা হলো। নাটোর ফিরে এলাম। আমার মাকে সালাম করলাম। মা আমাকে বললেন, ‘বাবা! প্রতিশোধ নিও না। মানুষকে ভালোবাস। তোমার বাবা ডাক্তার সাহেব মানুষকে বড় ভালোবাসতেন।’

আমার নেত্রী এবং মায়ের উপদেশ শিরোধার্য মনে করে প্রথম জেলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে গেলাম। তখন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ও বিরোধী আওয়ামী লীগের নেতা যারা আমার বয়োজ্যেষ্ঠ তাদের বসার পর সভাপতির চেয়ারে বসলাম। সবাইকে অন্তরের সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে বললাম, আসুন প্রাণের শহর ও আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জেলা নাটোরকে আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী হিসেবে গড়ে তুলি। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে নাটোর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ শুরু হয়ে গেল। ক্রমেই আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থায় নাটোরের চেহারা বদলে যেতে থাকল। বিদ্যুৎ, সেচ, কৃষি উন্নয়ন- সব মিলিয়ে উন্নয়নের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গেল।

সরকারি দল-বিরোধী দলের সিনিয়র সব নেতাকে একমঞ্চে এনে নাটোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করা হলো। নবরূপে জেগে উঠল নাটোর। চক্রান্তকারীদের সহ্য হলো না। তাদের চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের পরিধি সীমিত হয়ে এলো। এবার আঘাত এলো আমার পরিবারের ওপর। ২০০৩ সালে আমার খালাতো ভাই মাজেদুর রহমান মাজুকে খুন করা হলো। ২০০৪ সালে আমার ভাতিজা সাব্বির হোসেন গামাকে খুন করা হলো। যড়যন্ত্রকারীদের ধারণা ছিল, খুনের বদলা নিতে যাবে সরকারি দল। রক্তের হোলি খেলা হবে। দুলুর জনপ্রিয়তায় ধস নামবে। আমাদের দল, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বিশেষ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের তৎকালীন সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান ধৈর্যধারণের উপদেশ ও পরামর্শ দেন। তাই আমার পরিবারের তিন সদস্য পর পর খুন হওয়ার পরও প্রতিশোধে একফোঁটা রক্ত ঝরতে দিইনি।

তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা অপদস্থ হন। কারও বাড়িতে আক্রমণ হয়নি, আগুনও দেওয়া হয়নি। ওই সময় অসীম ধৈর্যধারণের জন্যই হয়তো বিএনপি নাটোরে এখনো এতটা জনপ্রিয়। অথচ ১-১১-এর পর আমাকে সম্পূর্ণ প্রতিহিংসায় মিথ্যা অভিযোগে দুই বছর কারান্তরিন রাখা হয়। ওই সময় আমার পরিবারের ওপর দিয়ে যে দুঃসহ নজিরবিহীন জুলুম-নির্যাতন বয়ে গেছে তা না হয় বর্ণনা না-ই করলাম। আমাকে নির্বাচন করতে দেওয়া হলো না। অথচ একই ধরনের মামলায় হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তিনটি নির্বাচন করলেন। তাঁরা দীর্ঘ সময় মন্ত্রিত্ব করলেন। কোনো সমস্যা হয়নি। এক যাত্রায় দুই ফল আর কি!

২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আমার প্রিয় দল বিএনপি আমার সহধর্মিণী সাবিনা ইয়াসমিন ছবিকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ কিন্তু একসময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকায় তিনি ভালোভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেন। ওই নির্বাচনে জিতলেও তাঁকে পরাজিত ঘোষণা করেন কুশীলবরা। দেখানো হয়, তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার। বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ আলী সরকারকে। নির্বাচনের পর আমার বাড়িতে হামলা হয়। এই ছিল বিএনপি সরকারের সময় আওয়ামী নেতাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রতিদান! আহাদ আলী হন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ২০১১ সালে আবার আমাকে মিথ্যা মামলায় আওয়ামী সরকার জেলে পাঠায়। দীর্ঘ ২৬ মাস রাজশাহী কারাগারে ছিলাম। নাটোর আদালতে হাজির করা হতো। কোর্টে হাজিরার দিন শত শত মানুষ আমাকে দেখতে আসত। সে অপরাধে বহু মানুষ নিগৃহীত হয়েছে। তবে ২০০৮-পরবর্তী সময়ে আমাকে নাটোরে যাওয়া-আসায় বাধা প্রদান করেননি তৎকালীন মন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। এটুকু চক্ষুলজ্জা তিনি রেখেছিলেন।

২০১৪ সালের বিনা ভোটের এমপি নাটোরে আমার যাওয়া-আসা বন্ধে প্রশাসনকে বাধ্য করেন। আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে তড়িঘড়ি করে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে নাটোর ছাড়তে হয়। মাকে সমবেদনা জানানোর সময়টুকু পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এটা যে কত কষ্টের তা হয়তো আমি বুঝাতে পারব না। রাজনীতি করতে গিয়ে বহুদিন অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাতে বাসায় ফিরে দেখেছি, মা জেগে বসে আছেন, দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। রাতে ফিরলেই প্রথম জিজ্ঞাসা করেন, ‘বাবা! খেয়েছিস?’ ২০১৩ সালে সেই গর্ভধারণী জন্মদাত্রী মায়ের মৃত্যুকালে আমি পাশে থাকতে পারিনি। মিথ্যা মামলায় জেলে ছিলাম। সেই কষ্ট-দুঃখ সারা জীবন আমাকে বহন করতে হবে। আমার মতোই নাটোরে হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ছড়াছড়ি।

বিএনপি দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। নাটোরের আজকের ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলে ছিলেন। আমি কারও বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা মামলা দিইনি। অবহেলিত নাটোরকে আধুনিক জনপদে রূপান্তরের জন্য কাজ করেছি। সহাবস্থানের রাজনীতি করেছি। আমি সব সময় মনে করেছি রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকবে তার পরও আমরা সবাই নাটোরবাসী। দলীয় সংকীর্ণতা আমার মধ্যে কখনো ছিল না।

যুবদল নেতা মাজেদুল হক মাজু হত্যাকারীদেরও একই পদ্ধতিতে ছেড়ে দিয়ে তাদের আরও ভয়ঙ্কর করে তোলার জন্য সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূরকে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি। প্রশাসন, আইন, বিচার কতটা অসহায়! নাটোরের মানুষ বাকরুদ্ধ। এখানে সংবাদপত্র, সাংবাদিক, বাকস্বাধীনতা- সবকিছুই অকার্যকর। আধুনিক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বলতে এখানে কিছু নেই। নাটোরের জনপদজুড়ে শ্বাসরুদ্ধকর ও ভীতিময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক কথায় ‘এখন শ্বাসরুদ্ধকর ভীতিপ্রদ এক জনপদের নাম নাটোর’। এ অবস্থায় কারও জন্যই সুসংবাদ বহন করে না। এ অবস্থার পরিবর্তনে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। নতুন করে নাটোরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রত্যাশাই করছি।

                লেখক : বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবর