বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পোশাকশিল্প

ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে

বাংলাদেশের পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে করোনাকালীন বিপর্যয় পেছনে ফেলে। পোশাক খাত রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী প্রণোদনা প্যাকেজ এ ক্ষেত্রে জাদুকরী প্রভাব বিস্তার করেছে। উদ্যোক্তাদের আশাবাদ করোনা-পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পোশাক খাত যে লাভবান হবে এমন আলামতও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ক্রেতারা চীনের বদলে বিকল্প অন্যান্য দেশের দিকে দৃষ্টি দেওয়ায় লাভবান হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী দেশ বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসকালে অচলাবস্থা কেটে যাওয়ার পর বৈশ্বিক ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছেন। ভোক্তাদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে লাভবান হবে বাংলাদেশ। ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষিতে পোশাকশিল্প মালিকরা যাতে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় মেতে না ওঠেন সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। মহামারী করোনাভাইরাস শুরুর পর অচলাবস্থা কাটিয়ে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এপ্রিলের তুলনায় আগস্টে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে। যদিও আগস্টে ঈদসহ বেশ কিছুদিন ছুটির কারণে কর্মদিবস কম ছিল। উদ্যোক্তাদের মতে ‘পোশাকশিল্পের সামনের দিনে আপাতদৃষ্টিতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। করোনা মহামারী মোকাবিলা করে ইউরোপের দেশগুলো যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে জুলাই ও আগস্টের ইতিবাচক পরিস্থিতি পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে কিনা তা দেখার বিষয়। পোশাক খাতে গত আগস্টের অগ্রগতি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প। করোনাভাইরাস-পরবর্তী বিশ্ব বাণিজ্যে চীনকে এড়ানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে যেসব অর্ডার চীনে যাওয়ার কথা তার একাংশ যাবে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোয়। এর ফলে ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশও লাভবান হবে। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে ৪০ লাখ মানুষ কর্মরত। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। এ খাতের সমৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে লাভবান করবে। করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেও তা অনুপ্রেরণা জোগাবে।

সর্বশেষ খবর